পিরোজপুর
খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে সিঁধ কেটে চুরির সময় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
পিরোজপুরের নেছারাবাদে রাতের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে সিঁধ কেটে ঘরে চুরির সময় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা হৃদয় হালদার (২৫) নামের এক যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছে।
গতকাল সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আটক হৃদয় হালদার ওই উপজেলার রতন হালদারের ছেলে।
জানা যায়, গত ২১ মার্চ গভীর রাতে হৃদয় ওই দিনমজুরের ঘরে প্রবেশ করে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মেশান। রাতে ঘরের সবাই খাবার খেলেও দিনমজুরের স্ত্রী খাবার না খেয়ে পরিবারের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হৃদয় ওই ঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে টাকাপয়সা চুরি করেন। এ সময় গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তাঁকে বাড়ির সামনে রাস্তায় রেখে হৃদয় পালিয়ে যান। পরে লোকলজ্জা ও হৃদয়ের ভয়ে পরিবারটি অভিযোগ করেনি। অব্যাহত হুমকি এবং বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে চৌকিদারের মাধ্যমে পুলিশের কাছে দেয়।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, তাঁরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দেওয়ায় পরিবারের সবাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। এ সময় পেছনের দিকে সিঁধ কেটে হৃদয় ঘরে ঢুকে টাকা চুরি করেন। পরে তাঁর স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
তিনি বলেন, ‘এত দিন আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কোনো জায়গায় অভিযোগ দিতে দেয়নি। এখন বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার স্থানীয়ের সহায়তায় তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মনোজ কুমার ঢালী বলেন, ওদের (হৃদয়) দলের একাধিক লোক এলাকায় নানা ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। স্থানীয়রা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চুরির ঘটনাসহ ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন বলেন, অভিযুক্ত যুবককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই পরিবার থানায় আসছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। স্থানীয়দের কাছে যুবক অপরাধ স্বীকার করলেও পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় কাজ চলবে।