চরফ্যাশন
ভোলায় পুত্রবধূকে গালমন্দ করায় বাবাকে খুন করে পালালো ছেলে
ভোলার চরফ্যাশনে খাবারের তরকারি রান্না ভালো না হওয়ায় পুত্রবধূকে গালমন্দ করায় ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে স্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আমিরুল ইসলাম নামের এক পাষন্ড ছেলের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টায় আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ শিবা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
বাবাকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে ছেলে আমিরুল ইসলাম-পুত্রবধু সাহানাজ বেগম মরদেহ ঘরে রেখে পালিয়ে যান।
নিহত মো. রতন ফরাজী ওই গ্রামের মৃত আলী হোসেন ফারাজীর ছেলে।
নিহত বৃদ্ধের প্রতিবেশীরা জানান, বৃদ্ধ রতন ফরাজী তার স্ত্রী বিলকিস বেগমসহ ছেলে আমিরুল ইসলামের সাথে থাকতেন। নিত্যদিনই পুত্রবধু তার শ্বশুর-শ্বাশুরির সাথে খারাপ আচরন করতেন। ঘটনারদিন ইফতারের পর পুত্রবধু সাহানাজের কাছে খাবার খেতে চান শ্বশুর রতন ফরাজী। এ সময় তরকারী ভালো রান্না না হওয়ায় পুত্রবধুর সঙ্গে শশুরের বাকবিতন্ডা হয়। ওই বাকবিতন্ডার জেরে ছেলে ও পুত্রবধু মিলে বৃদ্ধের গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ ঘরে রেখে পালিয়ে যান। বৃদ্ধ রতন ফরাজীর স্ত্রীর ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে ঘরের মেঝেতে পরে থাকতে দেখেন বৃদ্ধ রতন ফরাজীর নিথর দেহ।
বৃদ্ধ রতন ফরাজীর স্ত্রী বিলকিস বেগমের ভাষ্য তিনি অন্য ঘরে ছিলেন। তবে শশুর ও পুত্রবধূর মধ্যে বাকবিতন্ডার কথা আমি শুনেছি। যেহেতু পুত্রবধূ সবসময় খারাপ আচরন করে। তাই আমি বিষয়টি কর্ণপাত করিনি। কিছুক্ষণ পরে ঘরে এসে দেখি খাবার ঘরে স্বামীর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। তবে পুত্রবধূ ও ছেলে আমিরুল ইসলাম ঘর থেকে পালিয়ে গেছে।
চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে মৃত্যু আসল কারন জানা যাবে।