ভোলা
ভোলায় চাল বিতরণ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনের সংঘর্ষ, আহত ১৩
ভোলার মনপুরা উপজেলায় ভিজিএফের চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন দলের অন্তত ১৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রোববার (২৩ মার্চ) দুপুর ১২টায় উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতের কর্মীরা হলেন- নোমান, মহিউদ্দিন, মো. মাহিন, মো. রাসেদ, আব্বাস ও মো. কাউসার। বিএনপির আহত কর্মীরা হলেন- মো. মামুন, মো. এরশাদ, আব্বাস, সহিজল ও মিল্লাদ। আহতদের বাড়ি উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষের কারণে দুই ঘণ্টা চাল বিতরণ বন্ধ থাকে। পরে তিন দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের চাল বিতরণ শুরু হয়।”
মনপুরা থানার ওসি আহসান কবির বলেন, রোববার সকাল ১০টায় ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসকের নেতৃত্বে চাল বিতরণ শুরু হয়। পরে একতরফা বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চাল বিতরণের প্রতিবাদে স্থানীয় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতারা এক হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। একপর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলে ত্রিমুখি সংঘর্ষ। এতে তিন দলের কমপক্ষে ১৩ জন কর্মী আহত হয়।
খবর পেয়ে নৌবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের পর চাল বিতরণ শুরু হয়। এই ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি এনায়েত উল্লা বলেন, প্রত্যেক বছর উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাদের দলের অসহায় নেতাকর্মীরা চাল পেত। কিন্তু চলতি বছর আমাদের নেতাকর্মীদের চাল না দিয়ে এক তরফা বিএনপির নেতাকর্মীরা চাল দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা মিছিল করি। পরে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের কাছে প্রতিবাদ করতে এলে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করে আহত করে।
উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, একতরফা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। এর প্রতিবাদে মিছিল শেষে প্রশাসকের কাছে আসলে বিএনপির নেতা মোশারেফ, সামসু ও ফিরোজের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হয় “
উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মোশারেফ বলেন, আমরা হামলা করিনি বরং গোলমাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যাই।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিখন বণিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছে। উপজেলায় তিন দলের নেতাদের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।”