বরিশাল
অবৈধ কোচিং বাণিজ্য ও প্রাইভেট স্কুল চালাচ্ছেন উদয়ন স্কুলের শিক্ষক উজ্জ্বল মালাকার
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উজ্জল মালাকারে পরিচালনায় চলছে কোচিং বানিজ্য ও অবৈধ সরকারি নিবন্ধন ব্যতিত কুসুমবালা আইডিয়াল নামের একটি প্রাইভেট স্কুল। এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কোচিং এ্যাসোসিয়েশন বরিশাল ইউনিটের সভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন সুমন।
এদিকে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে নীতিমালা জারি করে সরকার। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে উজ্জল মালাকার চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বানিজ্য।
সূত্রে জানা যায়, উজ্জল মালাকার নগরীর ভাটিখানার ঢাকাইয়া গলিতে কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট স্কুল খুলেছে। প্রতি ব্যাচে ৩০ থেকে ৪০ জন করে জনপ্রতি ১০০০-১২০০ টাকা নিয়ে প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থীকে কোচিং করাচ্ছেন।
গোপনসূত্রে আরো জানা যায়, উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বরাতে তিনি এ কোচিং সেন্টারটি দীর্ঘদিন চালিয়ে যাচ্ছে। তার কোচিংয়ে ১ম-৯ম শ্রেণির উদয়ন স্কুলসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা কোচিং করছে। তাছাড়া উদয়ন স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা থাকায় বিভিন্ন স্কুলের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে কোচিং করাচ্ছে যা বর্তমান শিক্ষা আইনে অবৈধ। সরকারি নিয়ম অনুসারে শ্রেণি শিক্ষকরা স্কুল সময়ের পরে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের অতিরিক্ত ক্লাস নিতে পারবে স্কুলেই। কিন্তু সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে এই শিক্ষক বাহিরে বানিজ্যিক কোচিং পরিচালনা করছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ কোচিং বানিজ্য। এছাড়া কোচিং বানিজ্যর পাশাপাশি তিনি সরকারি নিবন্ধন ব্যতিত একটি প্রাইভেট স্কুল পরিচালনা করছে যার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। যা শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণার শামিল।
শিক্ষক উজ্জল মালাকারের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার নিকোলাস টলেন্টিনু, সিএসসিকে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি জানান- বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন। ঐ শিক্ষক প্রাইভেট পড়াবে না বলে লিখিত দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন বলেন- অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।