বরিশাল
ইজিবাইকে মামলা দেয়ায় মহাসড়ক অবরোধ, রূপাতলিতে বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীতে চলাচলরত হলুদ অটো সহ একাধিক ইজিবাইকে মামালা দেয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ইজিবাইক শ্রমিকরা। এসময় চৌমাথাসহ রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ এলাকায় বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। বুধবার ৩০শে মার্চ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে ১৫টির অধিক ইজিবাইকে মামলা দেয়া হয়।
রাস্তার পাশে থামিয়ে যাত্রী উঠা-নামা করার কারনে মামলা দেয়া হয়। এছাড়াও কয়েকটি ইজিবাইক আটকিয়ে থানায় নেয়া হয়। এসময় বিষয়টি শ্রমিকদের মধ্যে জানাজানি হলে ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে শ্রমিকরা দুপুর ১২টা থেকে চৌমাথা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা বাসদ বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলার সাধারন সম্পাদক মানিক হাওলাদার, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের ২১ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ ফজলু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ প্রমুখ।
ইজিবাইক চালক সাদ্দাম বলেন, ‘রুপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে সকালে পাঁচটি ইজিবাইক আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে সেখানে চালকরা বিক্ষোভ করেন। তখন পার্কিং সুবিধা নিশ্চিতসহ আটক গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। এরপর আবার আমতলার মোড় এলাকা থেকে দুটি ইজিবাইক এবং চৌমাথা এলাকা থেকে আটটি ইজিবাইক আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে আমরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করি।’
এদিকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভে মহাসড়ক বন্ধ থাকার পর কোতয়ালী থানার ওসি আজিমুল করিম ও চৌমাথার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ও চৌমাথায় গাড়ি রাখার স্ট্যান্ড করে দেয়ার আশ্বাস দেন। একইসাথে তারা প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বিত বৈঠক আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিলে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
তবে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘আপাতত আমরা অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেছি। বললেই তো আর আমরা পার্কিংয়ের জায়গা দিতে পারব না। এটা দেয়ার কাজ সিটি করপোরেশনের।
‘তা ছাড়া এসব ইজিবাইক মহাসড়কে চলাটাও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা হলে সেটার দায় পুলিশকেই দেয়া হবে। ইজিবাইক চলাচলের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আটক হওয়া কোনো ইজিবাইক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বা তাদের আশ্বাসও দেয়া হয়নি।’