পটুয়াখালী
আলোয় আলোকিত লেবুখালী-পায়রা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সেতুর সড়কবাতিতে নতুন করে সেজেছে লেবুখালীর পায়রা নদী। রাতের আঁধারে পায়রার পাড়ে দাঁড়ালে মনে হবে স্বপ্নের মতো। যে কেউ মনে করবেন হয়তো অন্য কোনো দেশে দাঁড়িয়ে আছি।
কিন্তু বাস্তবে পটুয়াখালীর দুমকিতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফোরলেনের পায়রা সেতুর সড়কবাতি দৃষ্টি কাড়ছে সবার।
সন্ধ্যা নেমে আসলেই রূপ বদলে যায় পায়রা নদীর। মনে হয় সেতুর সড়কবাতির আলোর ঝলকানি হাত নেড়ে তার সৌন্দর্য দেখতে ডাকছে সবাইকে। ইতোমধ্যে সেতুর এ মায়াবতী সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত মানুষ ভিড় করছেন পায়রার পাড়ে।
এদিকে দুটি অ্যাবাটমেন্ট ও ৩১টি পিয়ারে নির্মিত সেতুটির প্রায় ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বলা হচ্ছে আনুষঙ্গিক অন্যান্য নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে চলতি মাসেই যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম জানান, বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ৩৯ কিলোমিটারে পায়রা নদীর ওপর ‘লেবুখালী পায়রা সেতু’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে উপকূলের ৫০ লাখ মানুষের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে।
ইতোমধ্যে ৩১টি পিয়ারে সেতুটির সড়কবাতি স্থাপনসহ সম্পূর্ণ সেতু এখন দৃশ্যমান হয়েছে। দ্রুত বাকি কাজ সম্পন্ন করে এ মাসেই যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
ব্রিজটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫শ কোটি টাকা। ব্রিজটি যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত হলে পটুয়াখালী-বরগুনা জেলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। খুলে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সম্ভাবনার দ্বার।