বরিশাল
আগামিকাল থেকে বন্ধ বরিশালের সকল প্রবেশপথ, বেড়েছে পুলিশের টহল
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আগামিকাল থেকে বন্ধ হতে পারে বরিশালের সকল প্রবেশপথ। পাশাপাশি সড়কে টহল বাড়িয়েছে বরিশাল মহানগর পুলিশ (বিএমপি)। ঘর ছেড়ে প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি বাড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গত কয়েকদিন সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যেসব সড়কে গত কয়েকদিনে পুলিশের টহল ছিল না সেসব সড়কেও পুলিশের কর্মকাণ্ড বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি গত কয়েকদিনের মতো আজও পুলিশের শতাধিক সদস্য মোটরসাইকেল করে নগরীর বিভিন্নস্থানে মহরায় অংশ নেয়। এসময় সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে আহবান করা হয়। ঘরে থাকুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমান, নিজে বাচুন অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করুন, বিদেশ থেকে এলে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকুন ইত্যাদি সচেতনতামূলক কথা বলা হয়। টহলে থাকা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সবার ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে নগরীর প্রতিটি মোড়ে ও সড়কে টহল দিচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে তল্লাশি। প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, ‘সিএনজি চালিত অটোরিকশা সামনে পেলেই দাড় করিয়ে যাত্রী ও চালককে বলা হচ্ছে, ‘নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আপনারা বাইরে বের হয়েছেন কেন। অপনারা ঘরে ফিরে যান।’ এভাবে যারাই বাইরে বের হচ্ছেন তাদেরকেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত ও করেনার সংক্রমণ এড়াতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হলে গ্রেফতারসহ নেয়া হবে কঠিন আইনি ব্যবস্থা। এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন- এখন থেকেই শক্ত অবস্থানে বিএমপি। করোনা প্রতিরোধে ইতিমধ্যে বিএমপি কর্তৃক সচেতনতামূলক বহু প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, অপ্রয়োজনে ঘরের বাহির যেতে নিষেধসহ সরকারী সকল নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ঔষধ তথা মেডিকেল সার্ভিস সমূহ ব্যতিত সকল দোকান এমনকি খাবারের দোকান, কাঁচা বাজারের দোকান, মুদি দোকান সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। এছাড়া আগামিকাল থেকে বরিশালে ঢোকার এবং বাহির হবার সকল ধরনের প্রবেশ পথ বন্ধ করা হবে। এদিকে কোতয়ালি থানার সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার রাসেল আহম্মেদ বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে থাকছে তাদেরকে বুঝিয়ে ঘরে ফেড়াচ্ছে পুলিশ। আজও নগরিতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে আমাদের আরো কঠোর হতে হবে।