বরিশাল
অধরাই থাকছে মুলাদীতে মাদকের গডফাদাররা
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নে মাদকের ছড়াছড়ি, নতুন কোন খবর নয়। এই ইউনিয়নে পুলিশ ও র্যাবের অভিযানে যেসকল মাদক উদ্ধার হয়েছে যার সিংহভাগই ইয়াবা। এর পরে রয়েছে গাজা ও ফেন্সিডিল। যার প্রমাণও মিলছে বেশ কয়েকটি বড় ইয়াবা চালানের আটকের মাধ্যমে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান আটক মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নে। সে সময়ও আটককৃতদের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছিল গড ফাদারের নাম। মাদক উদ্ধার ও নির্মুলে মুলাদী পুলিশের প্রসংশনীয় সফলতা থাকলেও তা ব্যর্থ করে দিয়ে ধরা ছোয়ার বাহিরেই থেকে যাচ্ছে মাদক ডন ও গড ফাদার। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রণয়ন করে থাকে পুলিশের একটি গোয়েন্দ বিভাগ। সে তথ্য অনুযায়ী প্রায়ই দুই শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে শুধু সফিপুর ইউনিয়নে এবং এর নেপথ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী মহল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। এলাকার বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও একজন সাবেক ইউপি সদস্য জানান এলাকাটি নদী বেষ্টনি ও প্রত্যন্ত অঞ্চল বিধায় এবং থানা পুলিশের দূরত্ব থাকায় দিন-দিনই প্রকট আকার ধারণ করছে। ফলে ধ্বংস হয়ে পড়েছে এলাকার যুব সমাজ। সূত্রমতে জানা যায় যে, মুলাদী থানাধীন সফিপুর ইউনিয়নের সমিতির হাট এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে রশিদ ঘরামীর পুত্র সোহরাব ঘরামী ওরফে গাজা সোহরাব সে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে মুলাদী থানাসহ আশপাশের থানাগুলোতে একাধিক মাদক, ছিনতাই ও ডাকাতি মামলা রহিয়াছে। যথাক্রমে সেশন মামলা নং- ৩৩৭/২০১৮, জি. আর. মামলা নং- ৮২/২০১৭, জি. আর. মামলা নং- ১০৬/২০১৪ (মুলাদী), সি. আর. মামলা নং- ২০৬/২০১৭ (মুলাদী), সি. আর. মামলা নং- ৫৪/২০১৪ (মুলাদী), সি. আর. মামলা নং- ১৯৮/২০১৭ (মুলাদী), এম.পি মামলা নং- ১০৯/২০১৭ (মুলাদী), এম.পি মামলা নং- ১১৫/২০১৭ (মুলাদী), সি.আর. মামলা নং- ১৮/২০১৭ (মুলাদী), সি.আর মামলা নং- ৯৪/২০১৭ (মুলাদী)। উপরোক্ত মামলাসমূহ থাকা সত্ত্বেও সোহরাব আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে তার মাদকের সিন্ডিকেট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। এসব অনৈতিক কাজে সহায়তা করে তার দুই সহোদর একই এলাকার বাসিন্দা ফজলু আকনের পুত্র অজিউল আকন ও রাজা খালেকের পুত্র মাসুম রাজা। পরবর্তীতে চলতি বছরের শুরুতে মুলাদী থানায় ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা যোগদান করার পর পরই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করায় সোহরাব ও অজিউল আকন গাঁ ঢাকা দিলেও মাসুম তাহাদের সিন্ডিকেট পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন। তবে বরাবরই অধরাই থেকে যাচ্ছে মুলাদী তথা সফিপ্রু ইউনিয়নের মাদকের ডন ও গডফাদাররা। তাই এলাকাবাসীর দাবী এই মাদক গডফাদারদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।