বাড়ল লঞ্চ ভাড়া, ব‌রিশাল রুটের ডেকে ৪৫০ টাকা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৪১, আগস্ট ১৬ ২০২২ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ লঞ্চ মালিকদের সংগঠন সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী) সংস্থার সহ-সভাপ‌তি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল ৪২ ভাগ ভাড়া বাড়ানোর। সেক্ষেত্রে ৩০ ভাগ বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়।’ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর এবার লঞ্চের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। নৌ প‌রিবহন প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছে লঞ্চ মা‌লিক স‌মি‌তি। মঙ্গলবার লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার থেকেই ঢাকা-বরিশাল রুটে বাড়তি ভাড়া নেয়া হবে। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার দিন থেকেই ৩০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ভাড়া নিচ্ছেন লঞ্চ মালিকরা। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, জ্বালানি তেলের দামের সমন্বয়ের জন্য ৩০ ভাগ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম ১০০ কিলোমিটারের প্রতি কিলোমিটার ৩ টাকা করে। আর ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী দূরত্বের জন্য ২ টাকা ৬০ পয়সা প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে। লঞ্চ মালিকদের সংগঠন সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী) সংস্থার সহ-সভাপ‌তি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল ৪২ ভাগ ভাড়া বাড়ানোর। সেক্ষেত্রে ৩০ ভাগ বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়। এতে করে ঢাকা-বরিশাল রুটে আগে ডেকে ৩৫২ টাকা ভাড়া থাকলেও এখন বাড়িয়ে ৪৫৮ টাকা করা হয়েছে। তবে আমরা ৪৫০ টাকা করে ভাড়া আদায় করবো।’ রিন্টু জানান, নিয়ম অনুযায়ী তারা কেবিনের ভাড়া ডেকের ভাড়ার চেয়ে ৪ গুন হবে। তবে যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে লঞ্চ মা‌লিকরা বসে কেবিনের নতুন ভাড়ার পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। বাড়ল লঞ্চ ভাড়া, ব‌রিশাল রুটের ডেকে ৪৫০ টাকা অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ ভাড়া নিয়ে বুধবার সিদ্ধান্ত এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরপরই সরকার নির্ধারিত ৩৫২ টাকা ডেকের ভাড়া আদায় করছিল লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। তবে কিছু লঞ্চ লঞ্চ পদ্মা সেতু চালুর পর যে ২০০ টাকা করে ডেকের ভাড়া নিতো। তেলের দাম বাড়ার পর সেই লঞ্চগুলো ৫০ টাকা বাড়িয়ে ডেকের ভাড়া ২৫০ টাকা আদায় করতো। অন্যদিকে সিঙ্গেল ও ডাবল কে‌বিনের ভাড়া পদ্মা সেতু চালুর পর যা নেয়া হতো তেলের দাম বাড়ার পর তার থেকে ১০০/২০০ টাকা বাড়িয়ে রাখা হতো। ঢাক‌া ব‌রিশাল নৌ রুটের এম‌ভি মানামী লঞ্চের সুপারভাইজার শাহাদাৎ ইসলাম শুভ বলেন, ‘ডেকের ভাড়া ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে মনে হয় না যাত্রীদের কাছ থেকে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার বে‌শি ভাড়া নিতে পারবো। সিঙ্গেল এ‌সি কে‌বিন ১১০০, নন এ‌সি কে‌বিন ১০০০, ডাবল এ‌সি কে‌বিন ২২০০, নন এ‌সি ২০০০ ও সোফা ৭০০ টাকা করে নির্ধারণ করেছি আমরা। অর্থাৎ সেতু চালুর পর আমরা যে ভাড়াটা নিতাম, তার থেকে ১০০/২০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর বে‌শি ভাড়া নিলে যাত্রী পাবো না।’ এদিকে বরিশালের অভ‌্যন্তরীণ রুটের লঞ্চগুলোতে এখন পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি। জ্বালানী তেলের দাম বাড়ার পর এই লঞ্চগুলোতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে ভাড়া বাড়ানো হয়। ব‌রিশাল থেকে লালমোহন রুটে ২৮০ টাকার ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। পাশাপা‌শি ব‌রিশাল থেকে ভোলায় ১২০ টাকার ভাড়া ১৫০, ব‌রিশাল থেকে পাতারহাটে ১০০ টাকার ভাড়া ডেক ১২০ ও বিলাস ১৫০ টাকা করে নেয়া হ‌চ্ছে। তবে বুধবার থেকৈ স‌ঠিক ভাড়া নির্ধারণ হবে বলে জানিয়েছেন এসব রুটের লঞ্চ মাস্টাররা।