পুলিশ ট্রেনিংয়ের চিঠি পেলেন সেই সজল

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:১৫, ডিসেম্বর ২৬ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ‘ভূমিহীন হওয়ায় চাকরি নিয়ে জটিলতা’ কাটিয়ে অবশেষে বেতাগীর সেই সজল পুলিশে ট্রেনিংয়ে যোগদানের চিঠি হাতে পেয়েছেন। এতে সজলের পরিবারে খুশির বন্যা বইছে। জানা যায়, শনিবার বেতাগী থানার পুলিশ ট্রেনিংয়ের এ নোটিশ সজলের কাছে হস্তান্তর করে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর সজল ও ২০২১ সালে বরগুনা জেলা থেকে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে উত্তীর্ণ ১৯ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সরদা রাজশাহীতে ৬ মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে। এমন খুশির সংবাদে সজলের পরিবার বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে  বলেন, নানা জটিলতার পরও চাকরি হওয়ায় তারা খুশি। তাদের পরিবারটি এখন সচ্ছল হবে। সজলের জীবনেও একটি গতি আসবে। সজল কর্মকার অন্তর  বলেন, স্থায়ী কোনো জমি না থাকার জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে চাকরিটা পাচ্ছি। আগামী ২৮ ডিসেম্বর আমাকে ট্রেনিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ হেডকোয়ার্টার  কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। সজলের বাবা অমল কর্মকার বলেন, ছেলের চাকরি হওয়ায় আমি আজীবন প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করব ও বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। বরগুনা পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ হেডকোয়ার্টার জানিয়েছেন সজলের চাকরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে আবেদন করে বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ হোসনাবাদ গ্রামে বসবাসরত সজল চন্দ্র কর্মকার অন্তর মেধা, শারীরিক যোগ্যতা যাচাইসহ সাতটি ধাপ পেরিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তালিকায় চতুর্থ হয়। এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশনে স্থায়ী কোনো ভূমি না থাকায় চাকরি হওয়ার অনিশ্চয়তায় পড়ে সজল। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়লে তারই নির্দেশনায় চাকরি নামের সোনার হরিণের দেখা পান সজল।