দগ্ধ দুজন প্রাণে বাঁচলেও মির্জাগঞ্জে শিক্ষকসহ মা-মেয়ে নিখোঁজ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:১৬, ডিসেম্বর ২৫ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মির্জাগঞ্জের দুজন দগ্ধ হয়ে প্রাণে বাঁচলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন। এদের মধ্যে মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের কাফুলা গ্রামের সেলিম আকনের স্ত্রী ও উত্তর কিসমত শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহানারা আক্তার (৪২) ও দেউলি সুবিদখালী ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের শাহিন সিকদারের স্ত্রী আইরিন আক্তার রিনা (৩২) ও তার মেয়ে লিমা আক্তার (১৩) নিখোঁজ রয়েছেন। শাহিন সিকদারের ছেলে রনি সিকদার (১৫) দগ্ধ হয়ে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ সহকারী শিক্ষক জাহানারা আক্তারের সঙ্গে থাকা স্বামী সেলিম আকনকে দগ্ধ অবস্থায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার বিকালে বরিশাল থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। দগ্ধ রনি সিকদারের চাচা মো. বাবু সিকদার জানান, আমার ভাই শাহিন সিকদার পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তার শ্বশুরবাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া এলাকায়। অসুস্থ শ্বশুরকে দেখার জন্য তার স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে রওনা হন। তিনি বলেন, রাত তিনটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে সবার। আগুন দেখতে পেয়ে মা-বোনকে নিয়ে রনি লঞ্চের ছাঁদে উঠে। একপর্যায়ে আগুনের তীব্রতা বাড়লে মা ও বোনকে নিয়ে লাফিয়ে নদীতে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন রনি। কিন্ত বোন সাঁতার না জানায় রনির মা রাজি হয়নি। পরে রনির পায়ে আগুন লাগলে তিনি নদীতে লাফ দিয়ে তীরে উঠেন। এছাড়া শিক্ষক জাহানারা আক্তার ও তার স্বামী সেলিম আকন চিকিৎসার জন্য কিছুদিন আগে ঢাকা গিয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে ওই লঞ্চে বাড়ি ফিরছিলেন।