শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একক রাজনীতি বন্ধ করে সকলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:২৯, নভেম্বর ০৭ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥  কেন্দ্রীয় বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সাবেক) এমপি, এ্যাড,বিলকিস আক্তার শিরিন বলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উদার মনের লোক ছিলেন বলেই সেদিন শেখ হাসিনা দেশের মাঠিতে পা রাখতে পেরেছিলেন এবং জিয়াউর রহমান একক রাজনীতি বন্ধ করে দিয়ে সকলকে এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগ দেশে পুলিশ,র‌্যাব সহ বিভিন্ন বাহিনী ব্যবহার করে রাজপথ,ঘড় বাড়ি ঘিড়ে রাখা সহ ১৩ বছর ক্ষমতা দখল করে বাংলার মানুষের কন্ঠরোধ করে রেখেছে। এসময় তিনি বরিশাল মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপি নেতা কর্মীদেরকে স্মরন করে দিয়ে বলেন কোন ব্যাক্তির জন্য দল নয়। এদল শহীদ জিয়া,খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দল। আমরা সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করার মাধ্যমে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী হয়ে রাজ পথে কাজ করতে চাই। শিরিন তার বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মীদেরকে আবারো স্মরন করে দিয়ে বলেন এই চেয়ার দুইদিনের আজ আমি কাল আরেকজন আসবে সৃষ্টি করতে হবে নতুন নেতৃত্ব। আগামীদিনে কোন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের ছবি ছাড়া ব্যাক্তি বিশেষের ছবি ব্যানারে ব্যবহার না করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। আজ ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবস পালনের মাধ্যমে বরিশালের কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে যারাই এসেছেন তারা এ দিবসের প্রতি গুরুত্ব দলকে আরো উজ্জিবিত করে রাজপথে থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত থাকারও আহবান জানান। আজ রবিবার (৭ই) নভেম্বর সিপাহী ও জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবস উপলক্ষে বরিশাল মহানগর ও বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) সহ উত্তর জেলা বিএনপি যৌথ আয়োজনে বরিশাল প্রেস ক্লাব হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নব নিযুক্ত বরিশাল মহানগর বিএনপি আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিতে ও মহানদর সদস্য সচিব কাউন্সিলর মীর জাহিদুল কবির জাহিদ ও জেলা বিএনপি সদস্য সচিব এ্যাড, আখতার হোসেন মেবুলের সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম কলেজ (সাবেক) মাহবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এবায়েদুল হক চাঁন,সাবেক (এমপি) আবুল হোসেন খাঁন,জেলা বিএনপি (দক্ষিন) আহবায়ক এ্যাড, মজিবর রহমান নান্টু,মহানগর ১নং যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড, আলি হয়দার বাবুল,উত্তর জেলা বিএনপি আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মোঃ শহিদুল্লা, কেন্দ্রীয় যুবদল সহ-সভাপতি জাকির হোসেন,বরিশাল মহানগর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার জিয়া,সাবেক মহনগর সহ-সভাপতি মনিরুল আহসান মনির, বরিশাল কোতয়ালী বিএনপি সভাপতি এ্যাড,এনায়েত হোসেন বাচ্চু, বরিশাল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সভাপতি এ্যাড,মহসিন মন্টু,বরিশাল মহানগর মহিলাদল নেত্রী শামিমা আকবর,জেলা মহিলাদল সভাপতি অধ্যাপিক ফারহানা তিথি,মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদল সভপতি মাহবুবুর রহমান পিন্টু,সম্পাদক মসিউর রহমান মঞ্জু,জেলা যুবদল সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড,এইচ এম তছলিম উদ্দিন,মহানগর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এ্যাড,মাযহারুল ইসলাম জাহান,সাবেক ছাত্রনেতা আ.ন.ম সাইফুল ইসলাম আজিম,এ্যাড, শাহ আমিনুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি রেজাউল করিম রনি ও জেলা ছাত্রদল সম্পাদক কামরুল আহসান। আলোচনা সভায় বিএনপি নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করে বলেন আমরা ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস প্রতিবছরই আমাদের দলীয় কার্যলয়ের সামনে করে থাকি। এবারেই শনিবার রাতে কর্মসূচি পালনের লক্ষে দলীয় কার্যলয়ের সামনে আলোচনা সভার প্যান্ডেল নির্মাণ করার পূর্বে তা পুলিশ এসে ভেঙ্গে নিতে বলেন। পরে পুলিশ প্রশাসন প্রেসক্লাবে আলোচনা সভার অনুমতি প্রদান করা হলেও রাস্তায় কোন শ্লোগান-মিছিল না করার সর্তও বেধে দেওয়া হয় বলে তারা অভিযোগ করেন। পরে আলোচনা সভা শেষে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বরিশাল মহানগর আহবায়ক মনিরুজ্জামান খাঁন ফারুকের সহধমীনির যানাজা নামাজে অংশ নিতে শাহমুদিয়া মাদ্রাসা মাঠে শরিক হয়। উল্লেখ্য নব নিযুক্ত মহানগর বিএনপি আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জন্য বাসায় স্ত্রী’র মরদেহ বাসায় রেখে কর্মসূচিতে অংশ নেয়। পরবর্তীতে দলীয় নেতৃবৃন্দের অনুরোধে তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।