মুলাদীতে পঁচিশ হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:২৭, অক্টোবর ১৬ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসা চলছে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিয়ে। দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসক না থাকায় ব্যবস্থাপত্র এবং ওষুধপত্র দিচ্ছেন পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) মো. নাসির উদ্দীন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাটামারা ইউনিয়নের প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষ। মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘ দিন ধরে কোনো চিকিৎসক নেই। নেই কোনো স্বাস্থ্য সহকারী কিংবা চিকিৎসা সহকারী। প্রায় এক বছর আগে চিকিৎসা সহকারী সাজ্জাদ হোসেন অবসরে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি অচল হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইউনিয়বাসী। জানা যায়, জয়ন্তী ও আড়িয়ালখাঁ নদী বেষ্টিত বাটামারা ইউনিয়নে চিকিৎসা সেবা পৌছে দিতে আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পেয়ে আশার সঞ্চার হয়েছিলো বাসিন্দাদের। কিন্তু সেই কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। নদী বেষ্টিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোনো চিকিৎক না থাকায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো কাজে আসছে না। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র করা হয়। শুরু থেকে এই কেন্দ্রে কোনো এমবিবিএস চিকিৎসক পাননি তারা। তাদের আশা ছিলো, সপ্তাহে ২/১দিন হয়তো চিকিৎসক পাওয়া যাবে। কিন্তু দীর্ঘ বছরে কোনো চিকিৎসককে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়নি আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। আলীমাবাদ গ্রামের আবুল কাশেম খান জানান, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে কোনো চিকিৎসক নেই। আগেও কোনো দিন এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসক ছিলো না। বেশিরভাগ সময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকে। বিশেষ করে চিকিৎসা সহকারী সাজ্জাদ হোসেন যাওয়ার পর কেন্দ্রটি কোন সময় খোলা হয় তা জানে না কেউ। বাটামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সিকদার বলেন, আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা নেই। বিষয়টি প্রতিমাসের উপজেলায় সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে নেননি। সরকার জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌছে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও বাটামারা ইউনিয়বাসী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাটামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও কেন্দ্রিয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দীন খসরু জানান, আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা না থাকায় নারী ও শিশুরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসা নিতে ২৫/৩০ কিলোমিটার দূরে নদী পথে উপজেলা সদরে যেতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা সেবা তৃণমূলে পৌছে দিতে উপস্বাস্থ্য ও কমিউনিটি ক্লিনিক করলেও উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কারণে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক দেওয়া হলেও ডেপুটেশনের নামে সড়িয়ে নেওয়া হয়। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইয়েদুর রহমান বলেন, আলীমাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধের কিংবা চিকিৎসা সেবা না হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই। সেখানে একজন সেকমোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা।