ইমামের মিথ্যাচার ও কটূক্তি, শাস্তি দাবি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৪৩, সেপ্টেম্বর ১৯ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুজিব কোট নিয়ে মিথ্যাচার ও কটূক্তি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাওড়া ইসলামপুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু বকর মৃধা এ কটূক্তি ও মিথ্যাচার করেন। এ ঘটনায় রোববার ইমামের বিচার দাবিতে মুসল্লিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ইসলামপুর জামে মসজিদে। জানা গেছে, আমতলীর চাওড়া ইসলামপুর জামে মসজিদের ইমাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানার আবু বকর মৃধা গত শুক্রবার খুতবার বয়ানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুজিব কোট নিয়ে মিথ্যাচার ও কটূক্তি করেছেন বলে অভিযোগ মুসল্লিদের। মুসল্লিরা অভিযোগ করেন, মুজিব কোট নিয়ে ইমাম বলেন- মুজিব কোট ছিল মাওলানা সামসুল হক ফরিদপুরীর। এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ফরিদপুরীর ওই কোট নিয়ে যায়। ওই থেকে মুজিব কোট বঙ্গবন্ধু তার নামে চালিয়ে দেন। প্রকৃত পক্ষে বঙ্গবন্ধুর মুজিব কোট না। মুজিব কোট মাওলানা সামসুল হক ফরিদপুরীর। ইমামের এমন বয়ানের প্রতিবাদ করেন মসজিদে আসা মুসল্লিরা। তারা আরও অভিযোগ করেন, মুজিব কোট নিয়ে মিথ্যাচার ও কটূক্তির প্রতিবাদ করলে ইমাম মুসল্লিদের মসজিদ থেকে চলে যেতে বলেন ইমাম। ওই ঘটনার পরপর মুসল্লিরা মসজিদে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ইমামের বিচার দাবিতে মসজিদের মুসল্লিরা রোববার আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মুসল্লি ইউসুফ জামান বলেন, ইমাম মাওলানা আবু বকর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুজিব কোট নিয়ে মিথ্যাচার ও কটূক্তি করে বলেছেন মুজিব কোট বঙ্গবন্ধুর না। মুজিব কোট সামসুল হক ফরিদপুরীর। ফরিদপুরীর কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোট নিয়ে যায়। ইমামের এমন মিথ্যাচার ও কটূক্তি তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি ইমামের বিচার দাবি করেছেন। ইসলামপুর জামে মসজিদের সহ-সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বাদল প্যাদা বলেন, ইমাম মাওলানা আবু বকর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুজিব কোট নিয়ে যে মিথ্যাচার ও কটূক্তি করেছেন তা মেনে নেওয়া যায় না। এমন মিথ্যাচার ও কটূক্তি রাষ্ট্রবিরোধী। ইমাম মাওলানা আবু বকর মৃধা মুজিব কোট নিয়ে মিথ্যাচার ও কটূক্তির কথা অস্বীকার করে বলেন, মুসল্লিরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাইনি। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।