১৫ ফুটের চিচিঙ্গা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:১৯, সেপ্টেম্বর ১৪ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ অর্থনীতির প্রভাষক উৎপল জানান, ব্যাবসায়িকভাবে নয়, মূলত শখের বসেই চিচিঙ্গার এ জাতের দুটি বীজ বপন করেছিলেন তিনি। শ্বশুর তাকে এ জাতের চারটি বীজ দিয়েছিলেন। এটি তার শ্বশুর আনেন ভারতের চেন্নাই থেকে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় সবুজাভ কোনো লম্বা লাঠি ঝুলছে। কাছে গেলে দেখা যায়, সেটি চিচিঙ্গা। তবে দেশের বাজারে যে চিচিঙ্গা পাওয়া যায় এটির দৈর্ঘ্য তার কয়েক গুণ; ১০-১৫ ফুট। ভোলার মনপুরা উপজেলায় দেখা মিলেছে বিশেষ ধরনের এ চিচিঙ্গা। বাড়ির আঙিনায় এ জাতের দুটি গাছ লাগিয়েছেন উপজেলার মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের প্রভাষক উৎপল মণ্ডল। বিশাল আকৃতির এ চিচিঙ্গা এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে উপজেলার কৃষকদের মধ্যে। অর্থনীতির প্রভাষক উৎপল জানান, করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তিনি বাড়ির আঙিনায় শুরু করেন মৌসুমি ফসলের চাষ। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকমুক্ত ফসল ফলিয়ে বেশ সফলতা পেয়েছেন। পরিবারের দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে কিছু সবজি বাজারেও বিক্রি করেছেন। তিনি আরও জানান, ব্যাবসায়িকভাবে নয়, মূলত শখের বসেই চিচিঙ্গার এ জাতের দুটি বীজ বপন করেছিলেন তিনি। খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে শ্বশুর তাকে এ জাতের চারটি বীজ দিয়েছিলেন। তার শ্বশুর আবার এটি আনেন ভারতের চেন্নাই থেকে। উচ্চ ফলনশীল এ সবজির চাষাবাদ সম্পর্কে শিক্ষক উৎপল বলেন, ‘আমার শ্বশুরের উপহার দেয়া চারটি বীজের মধ্যে দুটি বপন করি। এক সপ্তাহের মধ্যেই অঙ্কুর বের হয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে মাচা দিয়ে গাছকে পরিচর্যা করতে থাকি।   ‘৭ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই গাছে ফুল দেখা দেয়। ফসল হওয়ার ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চিচিঙ্গা দ্রুত বড় হয়ে ১০ ফুট লম্বা হয়ে যায়। তবে চিচিঙ্গা পাকা (পরিপক্ব) পর্যন্ত ১৫ ফুট লম্বা হয়।’ বিশেষ প্রজাতির এ সবজিগাছ ৯ থেকে ১০ মাস বাঁচে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একেকটি গাছ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত চিচিঙ্গা ফলানো সম্ভব বলে মনে করি।’ শখ থেকে চাষাবাদে যুক্ত হওয়ায় এবং রাসায়নিক ব্যবহার না করায় উৎপলের সঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি জানান, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন কনটেন্ট দেখে চাষাবাদ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে তিনি এসব গাছের পরিচর্যা করছেন। ইন্টারনেটে দেখে গাছের উচ্চ ফলনশীল ‘থ্রিজি’ কাটিং দিয়েছেন। এ ছাড়া নিজেই লিকুইড প্রাকৃতিক সার তৈরি করে গাছের পরিচর্যায় ব্যবহার করছেন। চিচিঙ্গার জাতটি ব্যাবসায়িকভাবে চাষাবাদের বিষয়ে প্রভাষক উৎপল বলেন, ‘এই প্রজাতির হাইব্রিড চিচিঙ্গা চাষাবাদ করে কম খরচে কম পরিশ্রমে সহজে বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা। তাই ব্যাবসায়িকভাবে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের এগিয়ে আসা উচিত।’