অনুমোদন ছাড়াই চলছে ক্লিনিক

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:০৭, সেপ্টেম্বর ০৬ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরগুনায় অবৈধ ক্লিনিকের ছড়াছড়ি। অনুমোদন ছাড়াই সেখানে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। অনেক প্রতিষ্ঠানের তথ্যও নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। অবৈধ ক্লিনিকগুলোর বেশির ভাগেরই নাম ও অবস্থান জানে না সিভিল সার্জন। বরগুনার তালতলীতে একটি ক্লিনিকের অনুমোদন (লাইসেন্স) থাকলেও সেটির মেয়াদোত্তীর্ণ। বাকিগুলোর একটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো ধরনের অনুমোদন নেই। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তালতলী উপজেলায় ইসলামী হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। তবে নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চলতি বছরের জুন মাসে‌ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। বাকি তিনটিতে কোনো ধরেন লাইসেন্স নেই। কিন্তু বছরের পর বছর স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসিনতায় সেখানে চলছে অবৈধ বাণিজ্য। এসব ক্লিনিকে সেবা নিতে আশা ভুক্তভোগী রোগীর‌া জানান, পরীক্ষার নামে তাদের হয়রানি করা হয়। এছাড়া পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। এভাবে হয়রানি চললে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব হবে না। ইসলামী হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মাসুম ফরাজী বলেন, কাগজপত্র স্বাস্থ্য বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর চালান ফরমও আমাদের কাছে আছে। অস্ত্রোপচারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মো. আবুল বাসারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা ডা. আবদুল মুনয়েম সাদ বলেন, অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং লাইসেন্স ছাড়া অস্ত্রোপচার করার সুযোগ নেই। লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাওছার হোসেন ও বরগুনা সিভিল সার্জন ডাক্তার মারিয়া হাসান জানান, জেলার বেশকিছু ক্লিনিকের আবেদন আছে। সেগুলো ভিজিট করার কথা রয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।