প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গরুর হাট

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:২৩, সেপ্টেম্বর ০২ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপার রতনদি তালতলী মানিকচাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতি বুধবার বসছে গরুর হাট। স্থানীয়রা বলছেন, গরুর হাট বসানোয় গবাদি পশুর মলমূত্র থেকে নানা ধরনের রোগজীবানু ছড়ানোর ফলে একদিকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে খেলাধুলা থেকে। গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা-বদনাতলী সড়কের কাটাখালী গ্রামের পূর্বপ্রান্তে কাটাখালী বাজার। ওই সড়কের দুই পাশে বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শতাধিক দোকানপাট। বাজার থেকে উত্তর দিকে আরেকটি রাস্তা ধরে ২ থেকে ৩ শত ফুট গেলেই মানিকচাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের কয়েক শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীরা প্রতি বুধবার এখানে গরুর হাট বসান। হাট বসানোর কারণে পশুর মলমূত্রে সয়লাব হয়ে থাকে পুরো মাঠ। আশপাশের এলাকাও হয়ে থাকে নোংরা আবর্জনায় পরিপূর্ণ। তাই পরের দিন বৃৃহস্পতিবার ওসব মলমূত্র, নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করতে বাধ্য করা হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাটাখালী বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের ছত্রছায়ায় কয়েক বছর ধরে স্কুলের মাঠে গরুর হাট বসাচ্ছে। করোনার এই সময় এর কোনো তোয়াক্কাই করেননি বাজার কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারণে এটি এখন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা মো. ফিরোজ আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ ইসলাম জানান, ‘কাটাখালী বাজারে দীর্ঘদিন ধরে গরুর হাট বসে। এর পাশেই স্কুলের অবস্থান। কিন্তু স্কুল মাঠে গরুর হাট বসে, এ ধরনের তথ্য আমার জানা নেই। বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের মাঠে হাট না বসানোর নির্দেশ দেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুল মাঠে গরুর হাট বসার খবর আমার জানা নেই। তবে বিদ্যালয়ের চারদিকে দেয়ালের কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার জানান, স্কুল মাঠে হাট বসানো কোনোক্রমেই কাম্য নয়। স্কুল মাঠে যাতে হাট বসানো না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।