অবৈধ মেলামেশায় বাধ্য, ধরা পড়ে ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:২৭, আগস্ট ১৪ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরের নেছারাবাদে এক এনজিও কর্মীর সঙ্গে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক করতে গিয়ে ধরা পড়ে ওই মেয়েকে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মালিক মনির চৌধুরী। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলার আরামকাঠি শান্তিরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্বররূপকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান আলআমীন পারভেজের বিচারে ওই বিয়ে পড়ানো হয়। বর মনির চৌধুরীর ঘরে এক স্ত্রী একটি শিশু সন্তান রয়েছে। কনে জলাবাড়ী ইউনিয়নের একটি অতি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, মনির চৌধুরীর শান্তিরহাট বাজারে রূপালী সমবায় সমিতি নামে একটি এনজিও রয়েছে। সেখানে ইউনিয়নের একটি দরিদ্র পরিবারের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করত। মনির অভাবের সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে মেয়েটিকে অবৈধ মেলামেশায় বাধ্য করত। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাতে এনজিও মালিক মনির মেয়েটির সঙ্গে মেলামেশা করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে। এসময় ইউনিয়নের এক মহিলা ইউপি সদস্যর ছেলে খবর পেয়ে এসে মনিরকে জিজ্ঞাসা করে ভয়ভীতি দেখায়। ভয়ে মনির তাকে একটি মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিষয়টি রফাদফার চেষ্টা করেন। পরদিন শুক্রবার মেয়েটির পরিবার বিচারের আশায় স্বরূপকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমীন পারভেজের কাছে যান। চেয়ারম্যান উভয় পক্ষের বক্তব্যে শোনেন। এনজিও মালিক মনির চৌধুরীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে চেয়ারম্যান মনিরের সঙ্গে ওই মেয়েটির বিয়ে দেন। চেয়ারম্যান আল-আমীন পারভেজ বলেন, উভয়পক্ষের কাছ থেকে ঘটনা শুনে বর মনিরের প্রথম স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে দু'জনের বিবাহ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে শান্তিরহাট বাজারে বসে এ বিবাহ পড়ানো হয়। বিয়ের পর মনিরের প্রথম স্ত্রী স্বেচ্ছায় স্বামীর জন্য নববধূকে নিজেদের বাড়ি নিয়ে যান।