আবাসনের ঘর হস্তান্তরে বামনায় বিভাগীয় কমিশনার

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:১৪, জুলাই ২৩ ২০২১ মিনিট

  মোঃ ওমর ফারুক সাবু, নিজস্ব প্রতিনিধি।। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উপহার হিসেবে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ৪২টি উপজেলায় ১৩ হাজার ৭১৫ টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও সাত হাজার ৬২৭টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মানের কাজ শেষ পর্যায়ে। ’জমি নেই-ঘর নেই’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি গৃহহীন অস্বচ্ছল মানুষের জন্য আবাসন সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উপহার হিসেবে সারাদেশের ন্যায় বরগুনার বামনা উপজেলার তিন নং রামনা ইউনিয়নের দক্ষিন রামনায় আটটি ঘর গৃহহীন অস্বচ্ছল উপকারভোগী পরিবারকে চাবি হস্তান্তর করেন মোঃ সাইফুল আহসান বাদল, বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল। ২৩ জুলাই ২০২১ সকাল ১১:৪৫ ঘটিকায় বরগুনার রামনা ইউনিয়নে প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে উপকার ভোগীদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক বরগুনা, সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধা, উপজেলা চেয়ারম্যান বামনা, বিবেক সরকার, বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আলতাফ হোসেন ও রুমি খানম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার, চেয়ারম্যান রামনা ইউনিয়ন পরিষদ, নেসার উদ্দিন, সভাপতি সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদ ও সাগরকূল পত্রিকার সম্পাদক, মনোতোষ হালদার,উপজেলা প্রতিনিধি কালের কন্ঠ, মাসুদ রোজা ফয়সাল, নিউজ ৭১ ও সাংবাদিক ফোরকান, মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বামনা এর সহসভাপতিসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ। এ সময় মোঃ সাইফুল আহসান বাদল বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় প্রকল্পের ঘরের বিভিন্ন বিষয় খোঁজ নেন ও আশেপাশের পরিবেশ ঘুরে দেখেন। উপকারভোগী মোঃ শাহআলম ও আলো রানী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। তারা দু’হাত তুলে প্রধান মন্ত্রীর দীর্ঘজীবী হওয়ার জন্য দোয়া করেন। সাংবাদিকদের প্রকল্প পরিদর্শন ও হস্তান্তর সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মোঃ সাইফুল আহসান বাদল, বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প, মানবিক প্রকল্প গৃহহীনদের মাঝে গৃহ প্রদান নিঃসন্দেহের বিশ্বব্যাপী এক ব্যতিক্রমী ও অনন্য উদ্যোগ। প্রতিটি ঘর এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা ব্যয়ে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে নির্মীত হয়েছে এজন্য তিনি প্রশংসা করেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রকল্পের প্রতিটি অংশ নিবিড় পর্যবেক্ষন ও প্রয়োজনীয় রক্ষনাবেক্ষন করার নিদের্শনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন এ দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করে যাওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব ও অংঙ্গীকার। পাশাপাশি এ প্রকল্পের কোন অনিয়ম হলে তা কোন ক্রমে ছাড় দেয়া হবেনা মর্মে সকলকে সতর্ক করেন। তিনি আবাসনের পরিবেশ আরও মনোমুগ্ধ করার জন্য রাস্তা নিরমান, ফুল ও ফলের চারা রোপনসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন। তিনি উপকার ভোগীদের কাছে জানতে চান তাদের এ ঘর পেতে কোন প্রকার টাকা পয়সা বা চাঁদা প্রদান করতে হয়েছে কি না। তিনি উপস্থিত সকলকে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।