মঠবাড়িয়ায় সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে মানুষ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:৪১, জুলাই ১০ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥  পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার ডাকবাংলো থেকে মৃধা বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক এক বছর ধরে বেহাল হয়ে আছে। সড়কে অন্তত ২০টি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে খানাখন্দে (গর্তে) আটকে পড়ে যানবাহন। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, মঠবাড়িয়া পৌরসভার ডাকবাংলো সড়ক নামে পরিচিত গুরুত্বকপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সড়কটি দিয়ে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশের বাসিন্দা চলাচল করেন। এছাড়া মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের বকসির ঘটিচোরা গ্রাম, টিকিকাটা ইউনিয়নের তেতুলতলা গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য সড়কটির ওপর নির্ভরশীল। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির পৌরসভার অংশের ডাকবাংলো থেকে মৃধা বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কের গর্তে যানবাহনের চাকা আটকে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য সড়কটি এক বছর ধরে বেহাল হয়ে আছে। শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশন জামে মসজিদ সংলগ্ন মার্কেটের সামনে দুটি, নূর হোসেন খানের ঘের এলাকায় দুটি, আলম মাস্টার ও আবুল বাশারের বাড়ির সামনে সড়ক ভেঙে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে বৃষ্টির পানি জমে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দিয়ে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, ইজবাইক, রিকশা চলাচল করে। এছাড়া মালামাল পরিবহণে ভারী যানবাহনও চলাচল করতে দেখা গেছে। এসকল যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক নূর আলম বলেন, ডাকবাংলো থেকে সড়কটি টিকিকাটা ইউনিয়নের দধিভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত হলেও পৌরসভার তিন কিলোমিটার অংশ এক বছর ধরে বেহাল হয়ে আছে। ভাঙা সড়কের গর্তে গাড়ির চাকা আটকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কার করা না হলে বর্ষায় সড়কটি দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মঠবাড়িয়া পৌরসভার সবুজনগর গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন ফকির বলেন, সড়কটি দিয়ে পৌরসভার বাসিন্দা ছাড়াও মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়ন ও টিকিকাটা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এক বছর ধরে বেহাল হয়ে পড়ে আছে। অথচ পৌরসভা সড়কের ভাঙা অংশ সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা নিজের টাকায় একবার সড়কের গর্তে ইটের খোয়া দিয়ে যানচলাচলের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় এবং ভারী যানবাহন চলাচল করায় আবার সড়কে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক মো. রায়হান বলেন, সড়কে বড় বড় গর্ত হয়ে যাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। যাত্রীরা গাড়ি থেকে পড়ে আহত হন। গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। ঘন ঘন গাড়ি মেরামত করতে হয়। জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কার করা উচিত। মঠবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালেক জানান, সড়কটির ডাকবাংলো থেকে পৌরসভার অংশ সংস্কারের জন্য উপক’লীয় শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবনা আকারে প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে সড়কটি সংস্কার করা হবে।