চীন ফেরত ছাত্রকে নিয়ে বরিশালে গুজব

কামরুন নাহার | ১৪:৩১, ফেব্রুয়ারি ০৩ ২০২০ মিনিট

লে সম্প্রতি চীন থেকে বাড়ি ফেরা এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে এলাকাবাসীর ভীতি কিছুটা হলেও দূর হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে ১৪ দিনের বিশ্রামে আছেন। সতর্কতা স্বরূপ তিনি নিজ বাড়িতে একা অবস্থান করছেন। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বানীয়াশুরী গ্রামের বাদামতলা এলাকার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চীন ফেরত শিক্ষার্থী হেলাল সিকদার (২৬) ওই গ্রামের জালাল সিকদারের ছেলে। একবছর আগে তিনি চিকিৎসাশাস্ত্র পড়তে চীনে যান। গতকাল রোববার ভোরে হেলাল সিকদার বাড়ি ফেরেন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ১৪ দিন আলাদা থাকার ব্যবস্থা করেন। এ জন্য বাবা, মা, বোনসহ অন্য সদস্যদের আত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি রোববার সন্ধ্যার পরে এলাকায় জানাজানি হলে হেলাল সিকদার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গুজব মিথ্যা প্রমাণ করতে হেলাল সিকদারের মা সবার সামনে ছেলের ঘরে প্রবেশ করেন।গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হেলাল সিকদার পুলিশকে জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। যেহেতু তিনি চীন থেকে এসেছেন তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রাম নেয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের আত্মীয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, চীন থেকে নিজ খরচে ফেরার পথে চারটি স্থানে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা ও স্ক্যান করা হয়েছে। এছাড়া তাকে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১৪ দিন রাখা হয়েছিল। এতে তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে পৌঁছার পরেও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এতেও তার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তারপরও তাকে বিষশজ্ঞ চিকিৎসকেরা ১৪ দিন পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আলাদা থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন।ওসি বলেন, বিষয়টি রোববার রাতে শোনার পরেই চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। তারা চীন ফেরত ওই ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে ও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সব কাগজপত্র এনে চিকিৎসকদের দেখিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন, হেলাল সিকদারের শরীরেকরোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো আলামত নেই।