মহিপুরে উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক সহিংসতার অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২৩:০৮, ফেব্রুয়ারি ২৪ ২০২১ মিনিট

কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউপি’র উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক সহিংসতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রার্থীর উপর হামলা, কর্মী-সমর্থকদের প্রচার প্রচারনায় বাঁধা প্রদানসহ সাধারন ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগ বেশীর ভাগই বর্তমান ক্ষমতাসীন আ’লীগ মনোনীত নৌকা সমর্থকদের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ এবং বিএনপি ছাড়াও নির্বাচনের মাঠে রয়েছে একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রার্থীসহ কর্মীদের উপর প্রচারনায় বাঁধা এবং একাধিক হামলার অভিযোগে প্রতিদিনই সহিংসতায় পরিস্থিতি উক্তাপ্ত হয়ে উঠছে নির্বাচনী মাঠ। এমনকি নিরেপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে বলে অভিযোগ করেন সাধারন জনগন। প্রশাসন ও গনমাধ্যমের সহযোগিতায় প্রচার-প্রচারনা চালাতে হচ্ছে এমন অভিযোগ করেন ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম ওয়ালিউল্লাহ সিকদার (নান্নু) ও আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আঃ ওয়াদুদ সিকদার। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এমন একাধিক অভিযোগ থাকলেও নিরব ভূমিকায় বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মোঃ আবুল হোসেন ও হাত পাখা প্রতিকের প্রার্থী আঃ মালেক হাওলাদার। স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রয়াত চেয়ারম্যান আঃ সালাম সিকদকরের ছোট ভাই আঃ ওয়াদুদ সিকদার বলেন, গত ১৬ ফেব্র“য়ারি ৭, ৮ ও ৯ নং ( বরকতিয়া, মনষাতলী ও খাপড়াভাঙ্গা) ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারনা শেষে তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী মোঃ বাদশার (৩৮) নেতৃত্বে একদল বহিরাগত সন্ত্রসীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় সফর সঙ্গী মোঃ রাকিবুল (২৬) এর পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়। পরবর্তিতে মহিপুর থানা পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসায় পাঠায়। হামলায় তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পটুয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি জানান। এ বিষয় মহিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান। অন্যদিকে অপর স্বতন্ত্র প্রর্থী এসএম, ওয়ালিউল্লাহ (নান্নু) সিকদার গনমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, গত ২০ ফেব্র“য়ারী সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আ’লীগ নেতা কর্মীরা সমর্থক কুদ্দুস গাজীকে (৪০) বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। পরবর্তিতে প্রশাসনের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়। অপর দিকে তার প্রতীকের প্রচার মাইকের তার ছিড়ে ফেলে বাইক চালক আরিফের (২৮) মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। আরিফের একটি বাড়ি ও একটি খামারের কিস্তি ও মাইক ভাড়া ৫ হাজার টাকা পকেট হাতিয়ে নিয়ে যায় নৌকার বহিরাগত সন্ত্রসীরা। তিনি বলেন, নির্বাচনের টাকা দাখিলের পর এলাকায় প্রবেশ করতে না করতেই নানা ধরণের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। গত ১৬ ফেব্র“য়ারী সাড়ে ১১টার দিকে পশ্চিম মনসাতলী নির্বাচনী প্রচারনায় গেলে সেখানে বরকুতিয়া গ্রামের আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর মাষ্টার দলবদ্ধভাবে এসে অতির্কিত হামলা চালিয়ে ৫ জনকে আহত করে এবং তাকে সেখানেই অবরুদ্ধ রাখা হয়। পরবর্তিতে পুলিশ উদ্ধার করে। এছাড়াও প্রতিদিন তার নারী সমর্থকদের প্রচারনায় বাধা দেয়াসহ নানা হুমকী দিয়ে আসছে নৌকা’র কর্মী ও সমর্থকরা। আ’লীগ মনোনিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মোঃ অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন সিকদার এ সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, কিছু কুচক্রি মহল বর্তমান সরকারের উন্নায়নের ধারাকে ব্যাহত করা ও আ’লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই মিথ্যে অভিযোগ করছেন। কলাপাড়া নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার আঃ রশিদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে সকল প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরন-বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছি এবং সু নির্দিষ্ট অভিযোগ ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে গনমাধ্যমকে আশ্বস্ত করেন। এ ব্যাপারে মহিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, একাধিক অভিযোগ তিনি পেয়েছেন, উক্ত অভিযোগ সত্যতা যাচাইন্তে ব্যবস্থা নেয়া হবে।