ভাষা আন্দোলনে বরিশাল

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৩৮, ফেব্রুয়ারি ২০ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের রাজপথে যে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, তাঁর ব্যতিক্রম ঘটেনি ধান-নদীর শহর বরিশালেও। ১৯৪৮ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বরিশাল সফর করে ঢাকা যাবার পর মাতৃ ভাষার দাবিতে প্রদেশব্যাপী ধর্মঘট ধর্মঘট করে সেক্রেটারিয়েট ঘেরাও করা হয়। ওইদিন শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেকেই গ্রেফতার হন। অন্যদিকে রাষ্ট্রভাষার জন্য গঠিত কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন বরিশালের কৃতী সন্তান কাজী গোলাম মাহবুব। এছাড়াও ওই কমিটিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বরিশালের আব্দুর রহমান চৌধুরী (বিচারপতি),আখতার উদ্দিন আহমেদ, এম ডব্লিউ লকিতুল্লাহ, অনিল দাস চৌধুরী, ভোলার শামসুল আলমসহ বৃহত্তর বরিশালের অনেক ভাষাসৈনিক। যে গানটি প্রতিটি বাঙালি বুকে ধারন করে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে গেয়ে উঠি ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সেই গানের রচিয়তা তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীও বরিশালের কৃতী সন্তান। একই সাথে প্রথম সুরকার আব্দুল লতিফ, পরবর্তী ও বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ (শহীদ)। আবার আব্দুল লতিফের ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ বিখ্যাত এই গান, কিংবদন্তির কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘মাগো ওরা বলে’ কবিতায় ফুটে ওঠা মায়ের ভাষার প্রতি হৃদয়স্পর্শী আবেগ আর অনুভূতির কবি ও গীতিকার তারা সবাই আমাদের বরিশালের কৃতী সন্তান। শুধু তাই নয়, একুশে ফেব্রুয়ারির সাংস্কৃতিক চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন বরিশালের কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিল্পীরা। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে যেসব গান-কবিতা সারাদেশে এমনকি সমগ্র বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তার অধিকাংশরই স্রষ্টা বরিশালের সন্তান। যার প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দীন আহমেদের কথা। যার লেখনীতে ফুটে উঠেছে ভাষাসংগ্রামের নানা ইতিহাস। সূত্রমতে, বাঙালী জাতির অন্যতম আদি বাসভূমি বাকলার চন্দ্রদ্বীপ যা আজ বরিশাল নামে পরিচিতি। বাঙালীদের ভাষার নাম বাংলা। বাংলা ভাষার প্রথম কবি মীননাথ এগার শতকে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে বরিশালবাসী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগ্রাম শুরু হয়। ওইবছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদের সদস্য কুমিল্লার কৃতী সন্তান ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গণপরিষদে উর্দুর সঙ্গে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান। ১৯৪৮ সালের ১০ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও সংগঠনের প্রতিনিধি নিয়ে ফজলুল হক হলে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। এর পূর্বে (মার্চের প্রথম সপ্তাহে) শেখ মুজিবুর রহমান বরিশালে এসে বিএম কলেজের ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে সভা করে ছাত্রদের সংগঠিত করেন। শেখ মুজিবুর রহমান মার্চের প্রথমে বরিশালে সভা করে ঢাকায় চলে যাওয়ার পর ১১ মার্চ বাংলা ভাষার দাবিতে প্রদেশব্যাপী ধর্মঘট পালিত হয় এবং সেক্রেটারিয়েট ঘেরাও করা হয়। ওইদিন শেখ মুজিবুর রহমান, বরিশালের গৌরনদী থানার কাজী গোলাম মাহবুব, সরদার ফজলুল করিম গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে শেরে-বাংলা একে ফজলুল হক একদল আইনজীবী নিয়ে হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে রাস্তায় মিছিল করেন। এ সময় পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। ছাত্ররা পুলিশের লাঠিচার্জে রাস্তায় দাঁড়াতে না পেরে শেরে-বাংলা একে ফজলুল হকের পাশে আশ্রয় নেন। ওই সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে শেরে-বাংলা হাঁটুতে ব্যথা পান। ১৪ মার্চ ধর্মঘট পালিত হয়। মোহাম্মদ তোয়াহা, কামরুদ্দিন আহমদ ও বরিশালের আব্দুর রহমান চৌধুরীর ছাত্রদের দাবি নিয়ে খাজা নাজিমউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। খাজা নাজিমউদ্দিন ছাত্রদের বাংলাভাষা দাবি মেনে নেয়। গ্রেফতারকৃত ছাত্ররা ১৫ মার্চ মুক্তি লাভ করেন। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বরিশালে ধর্মঘট পালিত হয়। ছাত্রলীগ ও ছাত্র ফেডারেশন এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়। ১১ মার্চ কোথাও জায়গা না পেয়ে সদর রোডে দিপালী সিনেমা (বর্তমান অভিরুচি) হলের সামনে এবং ফকিরবাড়ী রাস্তার পাশের কচুক্ষেতে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাজী বাহাউদ্দীন আহমদ এবং বক্তব্য রাখেন শামসুল হক চৌধুরী, মুহাম্মদ আর্শেদ (ভোলা), মোখলেসুর রহমান, হাসান ইমাম চৌধুরী, এবিএম আশরাফ আলী খান প্রমুখ। ওইদিন (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় পুলিশ কাজী বাহাউদ্দীন আহমদ, শামসুল হক চৌধুরী, আর্শেদ, এবিএম আশরাফ আলী খানকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় এবং পরে মুক্তি দেয়। বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালীতে ১১ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে হরতাল পালিত হয়। ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনে বরিশালে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন কাজী বাহাউদ্দীন আহমদ, অমিয় কুমার দাশগুপ্ত, আলী আশরাফ, রমিজুল হক চুন্নু, হাসান ইমাম চৌধুরী, মোশারেফ হোসেন নান্নু, মুহাম্মদ আর্শেদ, মোখলেসুর রহমান, নেহাল হোসেন, স্বদেশ বসু, শামসুল হক চৌধুরী প্রমুখ। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন-যুক্তফ্রন্টের বিজয় ॥ ১৯৫২-১৯৫৮ মুসলিম লীগ সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরোধিতা করে। পূর্ব বাংলার জাগ্রত ছাত্র-জনতা ১৯৪৭ সাল থেকে বাংলা ভাষা আন্দোলনকে জনপ্রিয় করে তোলে। তারা ১১ মার্চ ভাষা দিবস হিসেবে পালন করত। ১৯৪৯ সালে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এসএম হলের ভিপি আব্দুর রহমান চৌধুরী তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন। ১৯৫২ সালের ২৫ জানুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নাজিমউদ্দীন ঢাকার এক জনসভায় ঘোষণা করেন ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’। বাংলার জনগণ নাজিমউদ্দীনের উক্তির তীব্র সমালোচনা করে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে। আওয়ামী মুসলিম লীগ, ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। ২৮ সদস্যবিশিষ্ট সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং আহ্বায়ক হলেন কাজী গোলাম মাহবুব। ২৮ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন বরিশালের। তারা হলেন আহ্বায়ক গৌরনদীর কাজী গোলাম মাহবুব-আওয়ামী লীগ, গাভার মুজিবুল হক ভিপি-সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, দৌলতখার শামসুল আলম ভিপি-ফজলুল হক হল, পিরোজপুরের শামসুল হক চৌধুরী-ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পূর্ব বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগ, আখতার উদ্দীন আহমদ নিখিল-পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (শাহ গ্রুপ)। ভাষা সৈনিকদের পরিচিতি ॥ কাজী গোলাম মাহবুব ১৯২৭ সালে গৌরনদী থানার কসবা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কৃষক নেতা মরহুম আব্দুল মাজেদ কাজী। কাজী গোলাম মাহবুব ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ভিপি ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এ্যাডভোকেট শামসুল আলম দৌলতখা থানার হাজীপুর গ্রামে ১৯২৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৌলভী গোলাম রহমান প-িত। শামসুল আলম বিএম কলেজ থেকে ১৯৪৮ সালে বিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫০ সালে এমএ এবং ১৯৫২ সালে এলএলবি পাস করেন। তিনি ফজলুল হক হলের ভিপি ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালে কারাবরণ করেছেন। একুশের পদকপ্রাপ্ত শামসুল আলম বরিশাল জজকোর্টে আইন ব্যবসা করতেন। মোহাম্মদ মুজিবুল হক ১৯৩০ সালে ঝালকাঠির গাভা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শেখ মোবারেক উদ্দীন সরদার। মুজিবুল হক চাখার কলেজ থেকে আইএ, বিএম কলেজ থেকে বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। তিনি ১৯৫১-৫২ সালে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ভিপি ছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি এক মাস কারাবরণ করেছেন। ১৯৫৪ সালে তিনি এসপি হন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। মুজিবুল হক বাংলাদেশ প্লানিং কমিশনের সদস্য এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন। মুহাম্মদ শামসুল হক চৌধুরী পিরোজপুরের দুর্গাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। একজন নির্ভীক আইনজীবী ও বলিষ্ঠ প্রতিবাদী কর্মী হওয়ায় শামসুল হক একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। আখতার উদ্দীন আহমেদ ঝালকাঠী থানার নবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬২-৬৪ সালে গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে দখলদার বাহিনীর মন্ত্রী ছিলেন। কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বানে ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সারা পূর্ববঙ্গে হরতাল পালিত হয়। মুসলিম লীগ সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ছাত্রসমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আইন পরিষদে যাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ওইসময় আইন পরিষদের অধিবেশন চলছিল। প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। তাদের মধ্যে ছিলেন, স্পীকার আব্দুল ওহাব খানের কন্যা সামছুন্নাহার এবং নলছিটির নন্দিকাঠী গ্রামের খান সাহেব বদরুদ্দিন আহমেদের কন্যা সুফিয়া খান। ছাত্রদের মধ্যে বরিশালের যারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তাদের মধ্যে ছিলেন, ফজলুল হক হলের ভিপি শামসুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈয়দ আশরাফ, আব্দুল লতিফ, খন্দকার আলমগীর প্রমুখ। পুলিশ ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। বেলা তিনটার সময় পুলিশ মেডিক্যাল কলেজের সামনে ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বরকত, রফিকসহ আরও অনেকে শহীদ হন। গুলির সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে এমএলএ আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ, আনোয়ারা বেগম, খয়রাত হোসেন, আবুল কালাম শামসুদ্দিন পরিষদ থেকে বেরিয়ে এসে ছাত্র হত্যার বিচার ও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান। ছাত্রদের আন্দোলন জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হয়। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে ১৯৫২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বরিশালে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। পরিষদের আহ্বায়ক করা হয় গলাচিপার ইচাদি নিবাসী আবুল হাসেমকে এবং সভাপতি হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক খান। পরিষদের উল্লেখযোগ্যরা হলেন- আলী আশরাফ, আব্দুল আজিজ তালুকদার, আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, প্রাণকুমার সেন, জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীর, সফিউর রহমান গদু মিয়া, সিরাজুল হক ভূঁইয়া ওরফে বাচ্চু মিয়া, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম খান, ডাঃ হাবিবুর রহমান, নিখিল সেন, বেলায়েত হোসেন, আমিনুল হক চৌধুরী, উকিল ওবায়দুল হক, কাজেম আলী, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, মোশারেফ হোসেন মোচন, ইমাদুল্লাহ লালা, মোশারেফ হোসেন নান্নু, রমিজুল হক চুন্নু, আলতাফ মাহমুদ, শাহজাহান চৌধুরী, রানী ভট্টাচার্য ও এমএ গফুর মোল্লা। ’৫২’র রক্তাক্ত পথ ধরে ১৯৫৪, ১৯৬২, ১৯৬৪, ১৯৬৬, ১৯৬৯ এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়।