ভোলায় শিশু বিয়ে জাতীয় হারের চেয়ে বেশি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৯:৪০, ফেব্রুয়ারি ০৮ ২০২১ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক॥  ভোলায় শিশুবিয়ে জাতীয় হারের চেয়ে বেশি। শিশু ও কিশোর-কিশোরী সুরক্ষা ত্বরান্বিতকরণ (এপিসি) প্রকল্প নিয়ে কাজ করা বে-সরকারী এনজিও কোস্ট ট্রাস্ট এর ভোলা জেলার সমীক্ষার ফলাফলে এই তথ্য উঠে আসে। যেখানে সারাদেশে শিশুবিয়ে (১৮ বছরের নিচে) ৫১.০৪ ভাগ হলেও ভোলায় শিশু বিয়ের হার ৬০.৩ ভাগ। যা জাতীয় হারের চেয়ে প্রায় ৯ ভাগ বেশি। এছাড়াও ১৫ বছরের নিচে জাতীয় হার ১৫.০৫ ভাগ কিন্তু ভোলায় ১৮.৮ ভাগ। যা জাতীয় হারের চেয়ে ৩.০৩ ভাগ বেশি। সোমবার সকাল ১০ টায় ভোলার মনপুরায় ডাকবাংলো হলরুমে শিশুবিয়ের কারণ, প্রভাব এবং প্রতিকারের উপায়ে নিয়ে কাজ করা বেসরকারি এনজিও কোস্টট্রাস্টের এ্যাডভোকেসি সভায় সমীক্ষার ফলাফলের এই প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। ইউনিসেফ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় এই সমীক্ষা চালানো হয়। ভোলার দূর্গম উপকূল, চরাঞ্চল ও মূল ভূ-খন্ডে গত বছরের (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) তিন মাসের জরিপের তথ্যে পাওয়া গেছে বলে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্টট্রাস্টের এডি মোঃ ইকবাল উদ্দিন ও এপিসি প্রকল্পের প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর মোঃ মিজানুর রহমান। সমীক্ষার ফলাফলের তথ্যে জানা যায়, ভোলার মূল ভূ-খন্ডে ৭০.০২ ভাগ ও চরাঞ্চলে ২৯.০৮ ভাগ শিশুবিয়ে হয়ে থাকে। শিক্ষার ধাপ বিবেচনায় ৫ম শ্রেণীর পর ১৯.০১ ভাগ, ৮ম শ্রেণীর পর ৬৭.০৩ ভাগ, মাধ্যমিকের পর ১০ ভাগ ও উচ্চ মাধ্যমিকের পর ১.০৩ ভাগ শিশুবিয়ে হয়। এতে ৮ম শ্রেণীর পাসের পর বিয়ের হার সবচেয়ে বেশি। শিশুবিয়ে কারণ হিসাবে দারিদ্রতা, পারিবারিক সম্মান, অচেতনতা, প্রেম-ভালবাসাকে চিহিৃত করা হয়। এ্যাডভোকেসি সভায় শিশুবিয়ে থেকে উত্তরনে স্কুল-কলেজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আলোচনার ওপর জোর দিয়ে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা, ওসি শাখাওয়াত হোসেন, ইউনিসেফের বিভাগীয় শিশু সুরাক্ষা বিষয়ক অফিসার মোঃ জামিল হাসান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রুপ কুমার পাল, প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন সহ অন্যান্যরা। এদিকে সমীক্ষার ফলাফলে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ এবিএম মাহমুদুল হক বলেন, বাল্য বিয়ে জড়িত হবার কারণে এক কাজীকে জরিমানা সহ ৬ মাস দন্ড বহাল রেখে প্রবেশন দেওয়া হয়েছে ১৪ টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে, স্কুল-মাদ্রাসায় বাল্যবিয়ে নিয়ে সচেতনতা ক্যাম্পইন করতে হবে এবং তার রির্পোট, ছবি আদালতে প্রবেশন কর্মকর্তার নিকট জমা দিবে। এছাড়াও এর থেকে উত্তরণে ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, মেয়ে শিশুদের প্রতি প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তনই হবে ভোলার বাল্যবিয়ে রোধের অন্যতম নিয়ামক। মেয়েদের সম্পদ হিসাবে ভাবতে হবে।