সিটি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ বরিশালসহ সব সিটিতে সমাবেশ করবে বিএনপি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৩:৪৫, ফেব্রুয়ারি ০৬ ২০২১ মিনিট

সিটি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বড় পরিসরে সারাদেশে সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল নগরীতে এ বিভাগীয় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালে বিএনপির মেয়রপ্রার্থীদের পক্ষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরওয়ার শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে হবে প্রথম সমাবেশ। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে, ২৭ ফেব্রুয়ারি, খুলনায়, ১ মার্চ রাজশাহীতে, ৩ মার্চ ঢাকা উত্তরে এবং ৪ মার্চ ঢাকা দক্ষিণে সমাবেশ করবে বিএনপি। তবে বিসিসি নির্বাচনের প্রায় ৩ বছর পর ভোটে কারচুপি ইস্যুতে বিএনপি কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয়ে নেতাকর্মীরা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলটির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, সবশেষ চট্টগ্রাম সিটির ভোটে নজিরবিহীন কারচুপির পর বিএনপি মনে করে এর আগের সব সিটি নির্বাচনেও যে অনিয়ম হয়েছে, তা জনগণের কাছে তুলে ধরা দরকার। একই চিত্র ছিল সংসদ নির্বাচনেও। যে কারণে তারা বিভাগীয় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি বড় পরিসরে বরিশালে এ বিভাগীয় সমাবেশ করা হবে। ওই সমাবেশে সারা দেশের বিএনপির সিটি মেয়র প্রার্থী, কেন্দ্রীয় নেতারা থাকবেন।
বিএনপি নেতা সরোয়ার বলেন, তারা নিরপেক্ষ ভোট চাচ্ছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিশি রাতের ভোটের পর এখন সব ধাপে নির্বাচনে কারচুপি করছে। আওয়ামী লীগ মুখে বলে তারা শক্তিশালী বিরোধী দল দেখতে চায়; কিন্তু বাস্তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা, হামলায় কোণঠাসা করে রেখেছে। দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতাও নেই। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তিনি (সরোয়ার) সারা দেশের মেয়র প্রার্থীদের পক্ষে বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা দেন। বরিশালে ১৮ ফেব্রুয়ারির সমাবেশে বিভাগ থেকে ব্যাপক নেতাকর্মী আনার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। সমাবেশে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি নির্বাচনে যে কারচুপি ও জালিয়াতি হয়েছে, তা প্রতিবাদস্বরূপ জনগণের কাছে প্রকাশ করা হবে। তারা নগরীর বৃহৎ কোনো স্থানে এ বিভাগীয় সমাবেশ করতে চান। যদিও প্রশাসনের অনুমতির ওপর নির্ভর করবে সমাবেশের ভেন্যু ও কৌশল এমনটাই জানান সরোয়ার। বরিশাল নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, তিনি সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। কিন্তু ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনে ভোট কারচুপির সঙ্গে প্রশাসন ও সরকারি দলের লোকজন জড়িত ছিলেন। ওই সময়ে একইসঙ্গে বরিশাল, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা সিটি নির্বাচন হয়েছিল। অবৈধ ওই নির্বাচনের প্রতিবাদে তারা জোরালোভাবে বড় ভেন্যু নিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ করবেন। তিনি বলেন, দেশের ভোটের অধিকার চান। জনগণের এ চাওয়া আর ভোট কারচুপি তুলে ধরা হবে বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশে। তবে বিএনপির বরিশালের একাধিক ওয়ার্ডের নেতা ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা জানান, এমন সমাবেশ এবং প্রতিবাদ বহু আগেই করা উচিত ছিল। বিএনপির অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীর বিজয় ছিল আশাব্যঞ্জক। কিন্তু ওই সময় ভোটে যেমন প্রতিরোধ গড়া যায়নি, তেমনি প্রতিবাদও হয়নি কার্যকর। এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, সিটি নির্বাচনে অনিয়ম জনগণকে জানাতে কেন্দ্রীয়ভাবে তারেক রহমানের নির্দেশে এ সমাবেশ হচ্ছে চট্টগ্রামসহ সব বিভাগীয় শহরে। বরিশালেও বিভাগীয় সমাবেশে গত সিটি ভোট কারচুপি হয়েছে, তা তুলে ধরতে কর্মসূচি সফল করতে চান তারা।