বরিশালে আ’লীগের দুগ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত ২০

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:৫১, ডিসেম্বর ০৬ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের হিজলায় উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর স্থানীয় স্থানীয় দুই সাংসদ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এবং পঙ্কজ দেবনাথের কর্মীদের এই সংঘাতে অন্তত ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে দুগ্রুপ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়ে মাঠে নামলে হাসানাত অনুসারী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ টিপু সিকদার এবং পঙ্কজ অনুসারী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলনের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হলেও এই সংঘর্ষের ঘটনায় কাউকে আটক করেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে হিজলায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামে বরিশাল-১ আসনের এমপি (মন্ত্রী মর্যাদা) আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র অনুসারী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ টিপু সিকদার এবং বরিশাল-৪ আসনের (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) সাংসদ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলনের কর্মীরা। পঙ্কজ অনুসারীরা আগেভাগেই উপজেলা চত্ত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এতে অংশ নেন উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন এবং উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলন। সমাবেশ চলাকালে বিশালাকারের বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে একই স্থানের দিকে হাসানাত আব্দুল্লাহ অনুসারী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সুলতান মাহামুদ টিপু সিকদার আসতে চাইলে তাতে সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলনের কর্মীরা বাধা দেয়। এনিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। একাধিক নেতাকর্মী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন- ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে উভয় নেতার কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় নেতার অন্তত ২০ কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতাল ও বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এর আগেই পুলিশ ভুমিকা রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এই বিষয়ে জানতে হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।