প্রেমিকার ওড়না গলায় পেচিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা॥

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:৩৮, নভেম্বর ১২ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীতে মুসলিমপাড়া এলাকায় প্রেমিকার বাসা থেকে প্রেমিক তানভির রহমান (২০) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের মো: শাহিন মিয়ার বাসার দোতলা থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, মৃত তানভির রহমান সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের খাটাশিয়া এলাকার মো: নুরুল হক মাস্টারের ছেলে। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতার মোর্শেদ জানায়, প্রায় দেড় বছর পূর্বে তানভির এর সাথে পটুয়াখালী সরকারী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী (প্রেমিকার) সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের সুত্র ধরেই প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি উভয়ের পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলেও কোন পরিবার থেকেই বাঁধা দেননি কেউ। এই সুযোগে তানভির প্রায়ই আসত প্রেমিকার বাসায় এমনকি প্রেমিকার ঘরেই রাত্রি যাপনও করতো। এই বিষয়ে প্রেমিকার মায়ের বরাদ দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি আকতার মোর্শেদ। তিনি জানান, বরাবরের মত মঙ্গলবার বিকেলে তানভির তার প্রেমিকার বাসায় আসে। রাতের খাবার শেষে ঘরের দোতলায় প্রেমিকার রুমে ঘুমাতে যায়। আর প্রেমিকা তার মায়ের সাথে নীচে ঘুমায়। রাত ১২টা থেকে তারা দু’জনে মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জারে কথোপকোথন শুরু করে। রাত সোয়া তিনটার সময় তানভির দৈহিক সম্পর্কের চাহিদা মিটাতে প্রেমিকাকে উপরে আসতে অনুরোধ করে। এক পর্যায়ে পৌনে চারটার দিকে তানভির ম্যাসেজ দেয় “তুমি উপরে না আসলে আমি কিন্তু আত্মহত্যা করব”। জবাবে প্রেমিকা বলে বড় ভাই এখনও জেগে আছে। আমি যেতে পারবোনা, তুমি মরলে মরো।দু’জনের জব্দকৃত মোবাইল ফোন থেকে এই ম্যাসেজ পেয়েছে পুলিশ। এছাড়াও মৃত্যুর আগ মূহর্তে তানভির সেলফি তুলে রেখে গেছেন বলে জানায়। ওসি আরো জানায়, বুধবার দুপুরে প্রেমিকার বাবা দোতলায় গিয়ে তানভিরকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে ভয়ে পুরো বিষয়টি গোপন রাখে।পরে সন্ধ্যায় স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে তানভিরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। তিনি আরো জানায়, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার মোটিফ পরিলক্ষিত হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে কিছুই বলা যাচ্ছেনা। এছাড়া মৃত তানভিরের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।এ ঘটনায় প্রেমিকার মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।