পদ্মা সেতুর সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান॥

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৭:০৬, নভেম্বর ১২ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর ৩৭তম স্প্যান বসানো হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে সেতুর ৫ হাজার ৫৫০ মিটার অর্থাৎ সাড়ে ৫ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি দৃশ্যমান। বাকি থাকলো সেতুর ৪টি স্প্যান। বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে সেতুর ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের উপর ‘২-সি’ নামের এ স্প্যান বসানো সম্পন্ন হয়। এর আগে গত ৬ নভেম্বর ৩৭তম স্প্যান বসানো হয়। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, উপজেলার কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টায় স্প্যান নিয়ে ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই নির্ধারিত পিলারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর ক্রেনটি নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছালে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু করে। পরে বিকেল ২টা ৫০ মিনিটে স্প্যান বসানো সম্পন্ন হয়। ইতোমধ্যেই জাজিরা প্রান্তে সবগুলো স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।বাকি ৪টি স্প্যান ১৬ নভেম্বর ১ ও ২ নম্বর পিয়ারে ৩৮তম স্প্যান ‘১-এ’, ২৩ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর পিয়ারে ৩৯তম স্প্যান ‘২-ডি’, ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর পিয়ারে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’ ও ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে ৪১তম স্প্যান স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।এছাড়া সেতুর ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের মধ্যে ১ হাজার ৪১টির বেশি রোড স্ল্যাব বসানো হয়েছে। আর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৫০০টির বেশি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩৪টি স্প্যান। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সব কটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।