যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫ জন॥

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে গায়ে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় যোগ দিতে সরাইল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ও জেলা পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধার সমর্থনে যুবলীগ নেতা রুবেলের নেতৃত্বে একটি মিছিল উপজেলা সদরের শহীদ মিনারের দিকে যাচ্ছিল। একই সময়ে পায়েল হোসেন মৃধার সমর্থনে আরেকটি মিছিল যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও মাহবুবের নেতৃত্বে বের হয়। মিছিল দুটি সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে যুবলীগ নেতা মাহবুবকে ধাক্কা মারেন যুবলীগ নেতা রুবেলের লোকেরা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মাহবুবকে মারধর করেন রুবেল ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে যোগ দেন উচালিয়াপাড়া ও সৈয়দটুলার যুবকেরা। এ সময় সংঘর্ষে হাসপাতাল মোড় ও অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আশপাশের এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় ও বাজার ছেড়ে পালাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. আনিসুর রহমান ও সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএম নাজমুল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজন যুবককে আটক করে। আহতরা গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তবে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থল থেকে তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো কোনো মামলা হয়নি।