জনগনের সেবা দিয়ে প্রমান করতে হবে : ডিসি খাইরুল আলম॥

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:১১, নভেম্বর ১১ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥  বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। কোন অবস্থাতেই যেন আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোন কিছুর বিনিময়ে প্রলুব্ধ হয়ে কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবেনা। যথা সময়ে ওয়ারেন্ট তামিল করার জন্য অভিযান বৃদ্ধি করতে হবে। মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখে যথাযথ ভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। বিটপুলিশিং কার্যক্রমকে আরও জোরদার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পুলিশি সেবা পৌছে দিতে হবে। আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে বিএমপি উত্তর বিভাগের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের মন-মানষিকতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সেই লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নের্তৃত্বে সত্যিকারার্থে জনগনের সেবক হতে কাজ করছে পুলিশ। কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংএর মাধ্যমে আমরা জনগনের পুলিশ হতে কাজ করছি। প্রত্যক এলাকার বিট অফিসারকে যথাযথ ভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেই জনগনের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন দেয়া হয়, সেই জনগনের প্রতি ন্যায় বিচার করে তাদের আস্থাভাজন হতে হবে। আমরা জনগনকে সাথে নিয়ে সমাজ থেকে সকল প্রকার অপরাধ মূলক কার্যকলাপ দূর করতে চাই। অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে, এক্ষেত্রে কোন নিরাপরাধ ব্যাক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। সততার সাথে কাজ করলে জনগন সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেনা। উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর)মোঃ খাইরুল আলম বলেন, করোনা কালে সঠিক ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জনগনের দোড়গোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে জবে। জনগনের সেবার মান বৃদ্ধির কথা শুধু মুখে বললেই হবেনা, সত্যিকারার্থে জনগনের সেবা দিয়ে প্রমান করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। মাদকের করাল গ্রাস থেকে আমাদের যুব সমাজকে বাচাতে হবে। সমাজ থেকে মাদক দুর করতে হলে আগে নিজেদেরকে মাদক থেকে মুক্ত হতে হবে। মাদকের সাথে কোন পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(উত্তর) মোঃ ফজলুল করিম, এয়ারপোর্ট থানার সহকারী কমিশনার নাসরিন জাহান, কাউনিয়া থানার সহকারী কমিশনার মোঃ মাসুদ রানা, কাউনিয়া থানার অফিসার ইসচার্জ মোঃ আজিমুল করিম, এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ বিন আলম, এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ মোঃ ফয়সাল, কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন)মোঃ লোকমান হোসেন প্রমুখ।