বরিশালের উপমহাদেশের একমাত্র শ্মশান দিপালী উৎসব থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ॥

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৬:২৬, নভেম্বর ১১ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের ঐতিহ্যবাহী উপমহাদেশের একমাত্র শ্মশান দিপালী উৎসব সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণভাবে অনুষ্ঠান করার জন্য নিরাপত্তা চাদরে থাকবে ঢাকা নগরীর কাউনিয়া নতুন বাজার আদি শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠান। আগামী (১৩ই) নভেম্বর শুক্রবার চতুদ্দর্শী পূণ্য তিথিতে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী, সর্ববৃহৎ দিপালী উৎসবের দিনে শ্মশান দিপালী এলাকায় ২০টি সিসি ক্যামেরার নজরে থাকবে পুরো এলাকা। সেই সাথে ১৪ই নভেম্বর রাত বারটা এক মিনিটে কালী পূজা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে। শ্মশান দিপালী উৎসব এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত ও পূর্ণার্থীদের ধর্মীও অনুষ্ঠান  পালনের নিরাপত্তা দায়ীত্বে নিয়োজিত থাকবে ১ শত ৫০ জন পোষাকী (বিএমপি) পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি টহলে থাকবে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব, গোয়েন্দা ও নিজস্ব সদস্য। সেই সাথে এবারেই প্রথম শ্মশান দিপালী কমিটি উৎসবে সকলকে স্বস্থ্যবিধি মেনে আসার জন্য আহবানের পাশাপাশি শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠানে যারাই আসবেন তাদের মধ্যে কারো মাক্স না থাকলে তাদেরকে মাক্স দিয়ে সহযোগীতা করা হবে।এমনকি প্রবেশ পাথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই সাথে মাদক সেবন করা হলে বা সেবন করে শ্মশান এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করা হলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাছে সোপর্দ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে শ্মশান রক্ষা কমিটি। এতথ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাধারন সম্পাদক তমাল মালাকার। এছাড়া মাদকাশক্তদের চিহ্নিত করার জন্য শ্মশান এলাকার প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে মাদক চিহ্নিত করন মেসিন যা সাথে সাথে মাদকাশক্তকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে। অন্যদিকে শ্মশান রক্ষা কমিটির নিজস্ব ১ শত জন স্বেচ্ছাসেবক সদস্য দায়ীত্ব পালনে থাকবে তারা উক্ত এলাকা জুড়ে। এদিকে এনএসআই ও সিটি এসবি সহ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পুরো এলাকার দায়ীত্বে নিয়োজিত থাকবে। বরিশালের একমাত্র উপমহাদেশের ২ শতাধিক বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শ্মশান দিপালী উৎসব অনুষ্ঠানে এবার অন্যান্য বারের মত ভারত, নেপাল সহ কোন বিদেশ থেকে আসার কোন সংবাদ কমিটির কাছে নেই। তবে দেশের বিভিন্নস্থানে থাকা স্বর্গবাসী হওয়া আপনজন তারা আসতে পারে বলে এখন পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে। তবে গতবারের মত তেমন লোক সমাগম হয়ত হবেনা করোনার কারনের আশংকা করা হচ্ছে। শ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মূখার্জী কুডু ও সাধারন সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, দিপালী উৎসবকে ঘিড়ে মৃতদের স্মৃতিচিহ্ন রাখার সমাধীগুলো ধোয়া মোছা সহ নতুন করে নির্মাণ এবং রং তুলির ছোয়ায় ভিন্ন রুপ ধারন করেছে। একটি পরিচ্ছন্ন ও পবিত্রতার পূর্ণ পরিবেশ দিপালী উৎসব বরিশালে প্রতি বছর এই দিনটি পালন করে যাচ্ছে আপন জন ও আত্বীয়-স্বজনরা। শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠানটি একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিনত হয়ে উঠে। বরিশালের প্রাচীন এই উৎসবে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল জেলা উপজেলা সহ প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ছাড়াও প্রথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দেখতে আসে। এদের মধ্যে কেহ আসে স্বজনদের সমাধীতে, আবার কেহ আসে উৎসবে অংশ নিতে। শেষ সময়ে দিপালী উৎসবকে সুষ্ঠভাবে সম্পূন্ন করতে প্রস্তুতি এক রকম শেষ প্রর্যায়ে রয়েছে। দিপালী উৎসব পালন অনুষ্ঠানের জন্য ইতি মধ্যে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা সহ পুলিশ কমিশনারের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। উৎসবের রাতকে শ্মশান এলাকা মমের প্রজ্জলনের আলোয় রাতকে দিনের আলোতে নিয়ে আসা হয় হবে।