পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:০২, নভেম্বর ১০ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরে মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) নামে এক ঘের ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে মোসা. রহিমা বেগম (৩২) ও মো. মাহাবুবুর রহমান সরদার নামের দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিদুল জামানের আদালত মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রহিমা বেগম বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার চর টেংরাখালী গ্রামের ছবেদ আলী মোল্লা মেয়ে এবং মো. মাহাবুবুর রহমান সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামের আশরাফ আলী সরদার ওরফে আশু সরদারের ছেলে। আর নিহত নজরুল ইসলাম হাওলাদারের বাড়ি সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের উত্তর পোরগোলা গ্রামে। জানা গেছে, নিহত নজরুল ইসলাম গত ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি নিখোঁজ হন। পরে ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় কদমতলা ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের পান্নু সরদারের জমিতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে পর দিন ৩১ জানুয়ারি রহিমা বেগম, বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার চর টেংরাখালী গ্রামের মৃত আদিল শেখের ছেলে গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্ত মেম্বার (৫০) ও তার ছেলে বদিউজ্জামান সেন্টু (২৮) ও মো. মাহাবুবুর রহমান সরদারকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার মাছের ঘের ও সবজি বাগানের কর্মচারী আবুয়াল শেখের স্ত্রী রহিমা বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরে রহিমার ডিভোর্স হয়। পরে রহিমা মোস্ত, সেন্টু ও মাহাবুবুরের সহযোগিতায় নজরুল ইসলামকে হত্যা করেন। পরে ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মরদেহ পান্নু সরদারের জমিতে খড়ের গোলার দক্ষিণ পাশে ফেলে রাখেন। মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী খান মো. আলাউদ্দিন  জানান, পরকীয়া প্রেমের জের ধরে ওই ঘের ব্যবসায়ী খুন হন। মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় সোমবার আদালত মোস্ত ও তার ছেলে সেন্টুকে বেকসুর খালাস দেন। আর অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রহিমা ও মাহাবুবুরকে এ সাজা দেন আদালত। রায়ের সময় রহিমা উপস্থিত থাকলেও মাহাবুবুর পলাতক।