মহানবী (সঃ)-এর সম্মানের উপর চুল পরিমান আঘাত বরদাশত করবো না

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:৪১, নভেম্বর ০৮ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন বলেন- যুগে যুগে বেদ্বীন, কাফের, মুশরিকরা আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজী (সঃ) কে বিভিন্ন ধরণের কটাক্ষ করে বিভিন্ন ভাবে অপমান করেছে। সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর সহযোগীতায় আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজীর শানে ব্যঙ্গ করে কার্টুন প্রদর্শন করা হয়েছে। এ সকল ঘটনায় একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। আর এমনটা প্রত্যেক মুসলমানেরই হওয়ার কথা। যেই মহান রাসূলের জন্য আল্লাহ তা’য়ালা এই জগৎ সৃষ্টি করেছেন, তাঁর সম্মানের উপর চুল পরিমান আঘাত হানবে তা আমরা কোন মুসলমানই শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত বরদাশত করবো না। আমরা মুসলমান শান্তিতে থাকতে চাই। কিন্তু যখনই কোন আঘাত আমাদের ধর্ম বা প্রাণপ্রিয় নবীজী (সঃ) এ্র উপর আসে তখন আর বসে থাকতে পারিনা। যেহেতু এর সাথে আমাদের ঈমানের সম্পর্ক রয়েছে। আজ যারা আমাদের নবীজী (সঃ)-কে নিয়ে কটাক্ষ ও ব্যঙ্গ করে তারা এটা জানেনা যে, মহানবী (সঃ) তো শুধু ইসলামের অনুসারীদের নবী নন, তিনিতো সারা বিশ্বের সকল জাতি এবং সকল মানুষের নবী।জাতিসংঘের কাছে আমাদের আবেদন অবিলম্বে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো ও তার অনুসারীদের আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা এবং সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এর কাছে দাবী সকল মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ থেকে ফ্রান্সকে বয়কট করা এবং তাদের দূতাবাসকে প্রত্যাহার করা হোক। বাংলাদেশ সরকারের নিকট আমাদের দাবী ফ্রান্স সরকার মহানবী (সঃ) এর ব্যাঙ্গ কার্টুন প্রদর্শনের পর ক্ষমাতো চাচ্ছে না, উল্টো তার বিভিন্ন বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে তার ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব আরও প্রকাশ করছে। তাই বাংলাদেশের সকল মুসলমানদের পক্ষ থেকে  ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামালা করা ও বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের সাথে সকল ধরণের কুটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা হোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ বাংলাদেশে যেন কোন ফ্রান্সের পন্য আমদানী করা না হয় এবং ব্যবসায়ীক ভাইদের প্রতি অনুরোধ আপনারা ফ্রান্সের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখুন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ফ্রান্সের বিরূদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হোক। বাংলাদেশের সরকারের নিকট দাবী-আমাদের দেশেও বিভিন্ন সময় কিছু কিছু নাস্তিক, মুরতাদ, বেইমান, ইসলাম বিদ্বেষীরা প্রায়ই ইসলাম ধর্ম, আলেম-ওলামা, মসজিদ-মাদ্রাসা নিয়ে কটুক্তি করে আসছে। যা অবিরামভাবে চলছে। অথচ তাদের যথোপযুক্ত শাস্তি না হওয়ায় তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে কোন ধর্মের প্রতি যাতে করে কেউ আঘাত হানতে না পারে সেজন্য ব্লাসফেমী আইন করে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা মুসলমানগণ শান্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে বিশ্বাসী না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবী জানিয়েই যাব ইনশাআল্লাহ। রবিবার বাংলাদেশ জমিয়তে হিযবুল্লাহ ইউনাইটেড ঢাকার উদ্যোগে আয়োজিত বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত ও মৌলভী মোঃ ইসমাঈল মিয়ার সভাপতিত্বে ও মাওলানা মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ ফয়রাভীর উপস্থাপনায় উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমিয়তে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়বে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জমিয়তে হিযবুল্লাহর নায়েবে আমীর আলহাজ্ব মাওলানা মির্জা নূরুর রহমান বেগ, নাজেমে আ’লা অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ শরাফত আলী, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা ও গবেষণা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাফেজ মুহা. রুহুল আমীন, কেন্দ্রীয় মুবাল্লিগ ও ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ, ড. মুহাম্মাদ কাফিলুদ্দীন সরকার সালেহী, ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহা.আলী আকবার, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওঃ আ.খ.ম আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ যুব হিযবুল্লাহর কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্জ মাওলানা কাজী মফিজ উদ্দিন প্রমূখ। পরিশেষে প্রধান অতিথি দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে মানববন্ধনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।