বরিশালে শীতের আগমন॥

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:০৬, নভেম্বর ০৭ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুয়াশার বুক চিরে ভোরের সূর্যোদয়। বিকেলের নীল আকাশের ক্যানভাসে থোকা থোকা সাদা মেঘের ভেলা। বরিশালে গত কয়েকদিন থেকে এমন দৃশ্য যেন শুনাচ্ছে শীতের পদধ্বনি। বরিশালে এমন ভোর আর সন্ধ্যার ঠিক আগের আকাশ যেন বলছে- শীত আর বেশি দূরে নেই। গত কয়েকদিন ধরে বরিশালে সূর্যোদয়ের আগ থেকে না হলেও রাত ৯ থেকে ১০ টা থেকে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। আর ফজরের সময় থাকছে মোটামুটি ঘন কুয়াশা। সঙ্গে থাকছে ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ। পৌষ ও মাঘ মাস আসতে এখনও মাসাধিক সময় বাকি থাকলেও দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বরিশালে বেড়ে চলছে শীতের অনুভূতি। নগরজীবনে অনুভূত না হলেও গত কয়েকদিন থেকে শীতের আগমনি বার্তা ভালোই ঠের পাচ্ছেন বরিশালের গ্রামাঞ্চলের মানুষ। বরিশাল সদর উপজেলার এক কৃষক  জানালেন, ৩ থেকে ৪ দিন আগেও রাতে বৈদ্যুতিক পাখা ছেড়ে ঘুমাতে হতো। তবে এশার নামজের পর থেকে কিছুটা শীত শীত অনুভূতি হয়। আর ফজরের সময়তো রীতিমতো একটু মোটা কাপড় পরতে হয়। এদিকে, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে একটু বেশিই শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানালেন শহরতলি তালতলীর বাসিন্দা নেয়ামত হোসেন। তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে নগরীর সদর রোড থেকে আমানতগঞ্জ রোডে গেলেই বেশ ঠান্ডা বাতাস অনুভূত হয়। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে গতবারের মতো এবারও তীব্র শীত পড়বে। কাশিপুর এলাকার এক গৃহিনী  জানান, এই কয়দিন বুঝতে না পারলেও গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে পানি ব্যবহারের সময় ঠান্ডা শিরশিরে অনুভূতি হয়েছে। মনে হচ্ছে শীত এসেই গেছে। শীতের আগমন বিষয়ে বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। এ কারণে তৈরি হয় প্রচুর জলীয় বাষ্প। এই জলীয় বাষ্প থেকে সৃষ্টি হওয়া মেঘমালা বাংলাদেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এ কারণে বরিশালসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে দু-তিনদিন বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টির কারণে ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বরিশালে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। যেহেতু দিনের ব্যাপ্তি কমে এসেছে, তাই একটা শীত শীত ভাব শুরু হয়েছে। তবে এটিকে শীতকাল বলা যাবে না, বরং শীতের পদধ্বনি বলা যাবে।’