নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১ হাজার মৎস্য শিকারীর কারাদণ্ড

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:০৩, নভেম্বর ০৪ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রজনন মৌসুমের সঙ্গে সমন্বয় করে এবার ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বেচাকেনা, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞা শুরুর সময় থেকে বরিশাল বিভাগের সর্বত্র চলছে মৎস্য বিভাগের নেতৃত্বে অভিযান। এসময় প্রায় আড়াই হাজার অভিযানে কারাদণ্ড হয়েছে এক হাজার ৬৮ মৎস্য শিকারীর। মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে বুধবার (৪ ন‌ভেম্বর) বি‌কেল পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় মোট দুই হাজার ৪৫৪টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। পাশাপাশি ৯৯৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। মোট অভিযানের অনুকূলে এক হাজার ১৮৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব অভিযানে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোষ্টগার্ড, নৌ-বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী সহায়তা করছেন। অভিযানে আটকদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আর এক হাজার ৬৮ জনকে দেওয়া হয়েছে কারাদণ্ড। উদ্ধার করা হয়েছে ৮৩ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল। এছাড়া ৯৫৯টি বি‌ভিন্ন ধর‌নের জাল জব্দ করা হ‌য়ে‌ছে, যার বাজার মূল্য ১৭ কো‌টি ২৪ লাখ টাকা। আর অভিযানে ইলিশ উদ্ধার করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ মেট্রিকটন। জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশের উপর নির্ভরশীল জেলেদের ২০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রচার প্রচারণা ও টানা অভিযান চালানো হয়েছে। বিভিন্ন অভিযানে বরিশালে যারা ধরা পড়ছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই মৌসুমী জেলে। মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, এখন পর্যন্ত অভিযানের ফলাফলে যেটুকু বোঝা যাচ্ছে, তাতে বিগত সময়ের থেকে নদী ও সাগরে নিষেধাজ্ঞার সময় প্রশাসনের সর্বস্তরের নজরদারি বেড়েছে। যার কারণে বিগত সময়ের তুলনায় অভিযান, মৎস্য শিকারীদের আটক, জাল উদ্ধারের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। বরিশাল জেলায় ৪৭ হাজার জেলেকে এবং বিভাগের দুই লাখ ৮২ হাজার ৫০০ জেলেকে নিষেধাজ্ঞার সময়ে ২০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।