সারাদেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত ভাণ্ডারিয়ার মিরাজুল ইসলাম

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:৩৬, নভেম্বর ০৩ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥  সারাদেশের উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে থেকে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৯ এর জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে শিক্ষা অধিদপ্তর। সেখানে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন মিরাজুল ইসলাম। নাজমা সেখ স্বাক্ষরিত শিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ২১ টি ক্যাটাগরির মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম। আন্তরিক ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমাকে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করায়। এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তিনি বলেন, ভাণ্ডারিয়াবাসীর মানুষের ভালবাসা আর সহযোগিতার ফল আমার এই অর্জন। আমরা সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে চাই। ভাণ্ডারিয়া উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়তে চাই। এ বিষয়ে মিরাজুল ইসলামের সহধর্মিনী কাজী শামিমার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। অনুভূতি জানানোর ভাষা নেই। আমি মনে করি, এই অর্জনের দাবিদার পুরো ভাণ্ডারিয়াবাসী। তার সফলতা, প্রাপ্তি, অর্জন সবকিছুই আমার জীবনের পরম পাওয়া। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও ঝরে পড়া রোধকল্পে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এবং অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময়, বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় বেঞ্চ সরবরাহ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ নানাবিধ প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং তা’ একের পর এক বাস্তবায়ন করে চলেছেন মিরাজুল ইসলাম। ফলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমে আসার পাশাপাশি শিক্ষাথীরা বিদ্যালয়মুখি হয়েছে। এছাড়াও নানাবিধ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদান রাখায় মিরাজুল ইসলামকে এই পদকে ভূষিত করা হয়। হিংসা, বিদ্বেষবিমূখ একজন সৃজনশীল আত্নপ্রত্যয়ী মানুষ হিসেবে মিরাজুল ইসলাম সর্ব মহলে সুনাম অর্জন করে চলেছেন। ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় সামাজিক কাজের পাশাপাশি তিনি গড়েছেন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে রয়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের তুষখালী কলেজ। এমপিওভূক্ত এই কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম। মানসম্মত শিক্ষার লক্ষ্য নিয়ে তিনি এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। আধুনিক ও মনোরম পরিবেশের সম্মিলনে কলেজটিতে বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যাবসা শিক্ষা চালু আছে। প্রজেক্টরের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করা হয়। উল্লেখ্য, মিরাজুল ইসলামের পাশাপাশি তার স্ত্রী কাজী শামিমাও একজন সমাজসেবক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসহায়, দুঃস্থ নারীদের নিয়ে সমাজকল্যাণমূলক কাজ করছেন।