বাউফলে কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৮:০৮, নভেম্বর ০১ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালী বাউফলের উপ সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনছার উদ্দিনকে মারধর ও সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রোববার উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা কর্মচারীরা কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে দাবির স্বপক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় কনকদিয়া বাজারের বানী ফার্মেসীর সামনে বাউফলের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনছার উদ্দিনকে মারধর করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। লাঞ্ছনার শিকার কর্মকর্তা আনছার উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার সরকারি কাজের জন্য আমি বাসা থেকে বের হই। বানী ফার্মেসী অতিক্রম করার সময় চেয়ারম্যান শাহীন আমাকে তার কাছে ডেকে নেন। চেয়ারম্যান ওই ফার্মেসীর একটি চেয়ারে বসা ছিলেন। আমি চেয়ারম্যানের সামনে গিয়ে তাকে সালাম দেই। এরপরই চেয়ারম্যান আমাকে ও আমার স্যারকে (উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান) অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেওয়া শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করলে তিনি চেয়ার থেকে উঠে আমাকে চড় থাপ্পর আর কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা আমাকে তার হাত থেকে উদ্ধার করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কনকদিয়া ইউনিয়নে ইউরিয়া সার সংক্রান্ত একটি অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন। ওই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা আমি। চেয়ারম্যানের কথা না শোনায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে এই কাজটি করেছেন। তবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, কয়েকদিন আগে কনকদিয়া ইউনিয়নের আয়লা বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে ইউরিয়া সার উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানকে। টাকার বিনিময়ে গোপনে তদন্ত করে সার পাচারকারীকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। আর এসব বিষয় নিয়েই উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনছার উদ্দিনের সঙ্গে আমার সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে। সেখানে কিল, ঘুষি বা হাতাহাতির কোন ঘটনা ঘটেনি।