প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক আর নেই

দেশ জনপদ ডেস্ক | ০৯:২৭, অক্টোবর ২৪ ২০২০ মিনিট

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রফিক-উল হক আর নেই। আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। আদ-দ্বীন হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন তাঁর মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রফিক-উল হক। রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালে। ১৯৬০ সালে তিনি আইন পেশায় আসেন। ১৯৯০ সালে তাঁকে অ্যাটর্নি জেনারেল করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন বুধবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় জানান। ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের সেপটিক শকে চলে গিয়েছিলেন। রক্তচাপ ও অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ইনটিউভেশন করে ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ‘স্যারের (রফিক-উল হক) অবস্থা একটু জটিল। যেহেতু তার ইউরোস্যাপসিস এবং লাংসে দুই ধরনের ইনফেকশন ছিল, রক্তশূন্যতা ছিল, স্ট্রোক করেছিলেন, শরীরের অ্যালবুমিন কমে গিয়েছিল, এই সবকিছু মিলিয়ে তার অবস্থা প্রথম দিকে একটু উন্নতি হলেও আবার অবনতি হয়ে গিয়েছে।’ অসুস্থবোধ করায় গত ১৫ অক্টোবর ৮৫ বছর বয়সী রফিক-উল হককে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তার বাম পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর থেকে তার স্বাভাবিক হাঁটাচলা ব্যাহত হওয়ায় হুইলচেয়ারে করে চলাফেরা করেন। বার্ধক্য ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েক বছর ধরেই সুপ্রিম কোর্টে অনিয়মিত তিনি। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার অ্যাট ল সম্পন্ন করে ১৯৬৫ সালে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন তিনি। গত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জমানায় দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া যখন কারাগারে তখন তাদের জন্য অকুতোভয়ে আইনি লড়াই করেন। ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন