দালাল সেকান্দারের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২৩:০৪, অক্টোবর ২৩ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশাল নগরীতে দালাল সেকান্দারের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সরকারি দপ্তরের কর্মচারীসহ একাধিক নগরবাসী। কখনো স্বরাষ্ট্রসচিব তার বেয়াই, কখনো স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার মামা, মন্ত্রণালয় আমার আত্বীয় আছেন, আবার কখনো বলে উমুক ডিসি আমার তালই। এরকম নানান পরিচয়ে দালাল সেকান্দর প্রতারনা করে হাতাচ্ছে টাকা পয়সা, হয়রানির তালিকায় অনেক ভুক্তভোগী । বরিশালে সরকারি দপ্তর গুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নানান ধরনের পরিচয় দিয়ে। বরিশাল নগরীর ভাটিখানার বাসিন্দা মৃত রজব আলি মিঞায় ছেলে এই দালাল সেকান্দার মিঞা। একসময় ঢাকা ক্ষিলখেতে টেইলার্সের কাজ করতো এই সেকান্দার সেখানে থাকাকালীন একটি বিবাহও করেছিলো এবং বর্তমানে আরেক বউ নিয়ে বরিশালে থাকেন। চার সন্তানের জনক এই সেকান্দার(৬০) বরিশাল নগরীর সরকারি দপ্তরগুলোতে বিভিন্ন পরিচয়ে ভুয়া কাগজ বানিয়ে মামলা মকর্দমা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে দালালি করাই তার পেশায় পরিণত হয়েছে। ডিসি অফিসের ভিপি শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, সেকান্দারের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ আমরা, সে আরো বলেন সেকান্দার ভুয়া কাগজ বানিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। কয়েকমাস পূর্বে কাটপট্টির সাবেক কাউন্সিলর নোমানের একটি সম্পত্তির জাল দলিল করে জমি দখলের পায়তারা চালালে আইনিভাবে জবাব দিয়ে দেন বিসিসির সাবেক কাউন্সিলর নোমান। এরপরে ৫৬ নং চকবাজরের রেকসিন পলিথিনের দোকানদার তায়েবা ট্রেডাসের স্বত্বাধিকারী সোহেল মাহামুদ জানান, দীর্ঘদিন যাবত চকবাজরের যে দোকানটিতে ব্যবসা পরিচালনা করতেছি সেই দোকানের লিজ যার নামে ছিলো তিনি ইন্তেকাল করায় তার লিজ বাতিল হলে নতুন করে লিজ পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি এবং তার সেই প্রক্রিয়া চলমান আছে। ইতিমধ্যে এই দালাল সেকান্দার, সোহেল মাহামুদের ভোগদখলকৃত জমিটি অন্য লোককে পাইয়ে দেয়ার পায়তারা করে আসছেন, চকবাজার এলাকার এক ব্যক্তি জানান, দালাল সেকান্দার সোহেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমিটি অন্য এক ব্যক্তিকে অবৈধ ভাবে দখল ও লিজ পাইয়ে দেয়ার জন্য অনেক টাকা হাতিয়েছেন, যার ভুক্তভোগী হয় সোহেল মাহামুদ । সেকান্দারের হয়রানির স্বীকার সোহেল মাহামুদ বলেন, আমি দীর্ঘ ১১ বছর যাবত এই সম্পত্তিতে ভোগদখল থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমি এই দোকানটি লিজের জন্য আবেদন করলে আমি ডিসিআর পাইনা। কিন্তু অন্য কোনো ব্যক্তিকে লিজ পাইয়ে দেয়ার জন্য এই সেকান্দার দালালি করছে, তিনি একাধারে আমাকে লিজ পাইয়ে দেয়ার জন্য আমার নিকট ঘুষ বাবদ টাকা দাবি করে। অন্যদিকে শুনেছি আরেক ব্যক্তিকে এই দোকান লিজ পাইয়ে দিবে বলে তার কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা পয়সা হাতিয়েছেন। সোহেল আরো বলেন আমি দালাল সেকান্দারের খপ্পরে না পরে লিজের যে সঠিক প্রক্রিয়া সেভাবে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি। কিন্তু এই দালাল সেকান্দার ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারনে লিজ পেতে পদে পদে হয়রানির স্বীকার হচ্ছি। শুধু সোহেল মাহামুদ নয়, দালাল সেকান্দারের এহেন কর্মকান্ডে বিব্রত সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারাও। দালাল সেকান্দারের কাজ হলো কোথায় কার জমিতে কি ধরনের জালিয়াতি করতে হবে সেটা তার মূখস্থ বিষয়। ভুক্তভোগী ও সরকারি দপ্তরগুলোর একাধিক ব্যক্তির দাবী, যেনো দ্রুত প্রশাসন এই প্রতারক দালাল সেকান্দারকে আইনের আয়তায় আনা হয়। এ বিষয়ে সেকান্দারের কাছে জানতে চাইলে বলেন আমার বেয়াই আনোয়ার আপনার সাথে কথা বলবে। তার এই দালালি পেশার কথা তুলতেই আমি ইকটু ব্যস্ত আছি বলে ফোনটি কেটে দেন।