বরিশালে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে হাতে হ্যান্ডকাপ অতঃপর হ্যান্ডকাপ নিয়ে পলায়ন

কামরুন নাহার | ২১:৩১, অক্টোবর ১৯ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশালে নিরপরাধ এক যুবককে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সাথে মাদক রাখার জন্য ওই যুবককে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায় বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মালেক। পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে সটকে পরে ঐ বিতর্কিত অফিসার। স্থানীয় একাধীক সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার বিকেলে বরিশাল স্টোডিয়ামে  ফুটবল খেলা শেষে বাসায় ফেরার পথে এ ধরনের বির্তকিত ঘটনা তৈরী হয়। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পলাশপুরের শাহাদত হোসেনের ছেলে রিদয়(২২) আজ বিকেলে ফুটবল খেলে শেষে বাসায় ফেরার পথে রিদয়কে দাঁড় করিয়ে সাথে মাদক রয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর কোন  কিছু না বলেই তার হাতে হ্যান্ডকাপ পরানে হয়। এসময় ইন্সপেক্টর মালেক নিজের সাথে থাকা গাঁজা বের করে তার পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। এসময় হৃদয়কে গাঁজা দিয়ে চালান দেওয়ার কথাও বলা হয়। এতে হৃদয় আতঙ্কিত হয়ে বার বার নিজেকে নিরাপরাধ দাবী করে এবং বলে আপনার সাথে আমার তো কোন বিরোধ নেই, তাহলে কেন আমাকে মাদক দিয়ে ফাঁসাচ্ছেন? এরপর ওই যুবকের কান্নাকাটির একপর্যায়ে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হতে থাকে। ঘটনার বিস্তারিত জানার পর এলাকাবাসী হৃদয়কে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইন্সপেক্টর মালেককে অনুরোধ জানায়। কিন্তু ছেড়ে দিতে না চাইলে এলাকাবাসীর সাথে বাকবিতন্ডায় জরিয়ে পরেন মালেক। বাকবিতন্ডা চলার ফাঁকে রিদয় হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায় পালিয়ে এলাকায় গিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে ঘটনা খুলে বলে। এদিকে হ্যান্ডকাপ উদ্বার করতে পলাশপুরে ইন্সপেক্টর মালেক গেলে সেখানে উপস্থিত সবাই জানতে চায় কেন রিদয়কে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন?  স্থানীয় ও কাউন্সিলরদের কথার কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বিতর্কিত ইন্সপেক্টর মালেক। তখন স্থানীয়দের কাছে ক্ষমা চেয়ে মালেক বলেন, একটু ভুল বোঝাবুঝির জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে।  এজন্য আমি ক্ষমা চাই। পরে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রনি ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জাহানারার উপস্থিতিতে ইন্সপেক্টর মালেককে হ্যান্ডকাপ দিয়ে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদকর্মীদের মালেক নিউজটি প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন এবং বলেন আমি আপনাদের সাথে দেখা করবো।