ভোলার ইলিশায় সরকারি খাল দখল করে ইটভাটা

দেশ জনপদ ডেস্ক | ১৪:১৫, অক্টোবর ১৭ ২০২০ মিনিট

ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামে সরকারি খাল ভরাট করে জমি দখল করে নিচ্ছে “ফাইভ ষ্টার” ব্রিক্স। নামে একটি ইট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এতে ফুঁসে উঠেছে ওই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ জনগন। এ ব্যাপারে সম্মিলিত এলাকাবাসী ভোলা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডে, পুরাত হ্যালিপ্যাড রোড নিবাশি মৃত সেরাজল হক বেপারীর ছেলে আবদুল খালেক (টিন খালেক) সিমিত আকের কিছু সংখ্যক জমি ক্রয় করে ফাইভ ষ্টার নামে একটি ইটের ভাটা নির্মান করেন। পরবর্তিতে ইট তৈরীতে তার ব্যাপক যায়গার প্রয়োজন হলে সে স্থানীয় সাধারণ জনগনের জমি দখলের পায়তাড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে তার ইট ভাটার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহমান একটি সরকারি খাল যার প্রস্থ (পাশ) ছিল ৪০ ফুট। সে খালটি সে পর্যায়ক্রমে ভাড়াট করে দখল করে নেয়। খালটি ভরাট করেতে করেতে বর্তমানে এর প্রস্থ এসে দাড়িয়েছে মাত্র ৮ ফুটে। এর মধ্যেও টিন খালেক বিবেক বুদ্ধির মাথা খেয়ে এলাকার সাধারণ কৃষকদের কথা চিন্তা না করে ৪০ফুট প্রস্থ খালটির মাঝখান দিয়ে নিজের সুবিধা মত ড্রেন তৈরীর কাজ চালু করেছে। এ ব্যাপারে ওই এলাকার ভূক্তভোগী কৃষক আবুল কাশেম, মোতালেব হোসেন, ওমর ফারুখ, হদিছ মুন্সি, নাছির উদ্দিন ও আবুল হাশেমসহ অনেকে জনান, এ খালটি দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের কৃষি ফসলের সেচ কাজসহ এলাকার কৃষক ও সাধারণ মানুষের বিভিন্ন চাহিদা মিটিয়ে আসছিল। টিন খালেক এখানে ইট ভাটা তৈরি করার পর সে তার ইট ভাটাটি বড় করার জন্য ৪০ ফুট পাশে চওড়া খালটি ভরাট করতে করেত এখন ৮ ফুটে এনেছে। এতে আমাদের কৃষকদের সেচ কাজে ব্যাঘাত ঘটার কারণে আমরা চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। এ খালটি যদি একেবারে বন্ধ হয়ে যায় তবে আমাদের দূর্ভোগের শেষ থাকবে না। এলাকা ঘুড়ে আরো জানাগেছে, এ ব্যাপারে টিন খালেককে এলাকাবাসী কাজ বন্ধের জন্য একাধিকবার অনুরোধ করলেও সে তাদের কথায় কোন তোয়াক্কা করছে না। পরে এলাকার সম্মিলিত কৃষকগন ভোলা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আভিযোগপত্র দাখিল করে। কিন্তু টিন খালেক প্রভাবশালী বলে বিভিন্ন মহলে তদবীর চালিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে তার অবৈধ খাল দখলের কাজ অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামানা করেন পাঙ্গাশিয়া গ্রামের সাম্মিলিত সাধারণ জনগন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবদুল খালেকের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, সে কিছু দিন আগে ওই খালটিসহ ইট ভাটার জমি ক্রয় করেছে। কিন্তু জমির কাগজপত্র, দাগ খতিয়ান, চৌহদ্দি ও ম্যাপ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, খালেক সরকারি খালের পাশের জমিটি ক্রয় করে থাকলেও সারকার তার কাছে খাল বিক্রি করেনি।