বরিশালে মাস্ক ছাড়া পূজা মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ

কামরুন নাহার | ১৪:২৪, অক্টোবর ১২ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক।। শারদীয় দুর্গাপূজার আর বাকি মাত্র কয়েকদিন। এরইমধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ, আবার অনেক জায়গাতে শুরু হয়েছে সাজসজ্জার কাজও। এর বাইরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও পূজাকে ঘিরে আগাম প্রস্ততি সম্পন্ন করার কাজ পরিচালনা করছে। যার ধারাবাহিকতায় মণ্ডপ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তারা। মহামারি করোনাকালে সার্বজনীন এ পূজাকে ঘিরে ব্যতিক্রমী নানান উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় এবারে ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নীতিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় পূজার আয়োজন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে মাস্কবিহীন কোনো দর্শনার্থী মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর পূজা উদযাপন কমিটিকে মণ্ডপের গেটে ফ্রি মাস্কের ব্যবস্থা রাখার জন্যও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পূজা উদযাপন কমিটির উদ্দেশ্যে বেশ কিছু করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, আয়োজক কমিটির প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও বিসর্জনস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও স্বেচ্ছাসেবক লিখিত আর্মড ব্যান্ড দেওয়া। স্বেচ্ছাসেবকরা পূজামণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের যথাযথভাবে তল্লাশি করা। নারী দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির জন্য পর্যাপ্ত নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা। স্বেচ্ছাসেবকদের নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো। এছাড়া মণ্ডপস্থলের চারপাশ খোলা রাখার ব্যবস্থা করা। যদিও চারপাশ আটকানো থাকে তাহলে ওপরে দিক খোলা রাখা মণ্ডপের ভেতরে একসঙ্গে ২০ জনের বেশি না থাকা এবং আগত দর্শনার্থীরা প্রবেশ পথে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে মণ্ডপে প্রবেশ করানো এবং মণ্ডপের ভেতরেও ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা। প্রত্যেক মণ্ডপের প্রবেশ এবং বাহির পথে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা। প্রতিটি মণ্ডপের গেটে থার্মাল স্ক্যানার/তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্র রাখা। কোনো ধরনের পটকা/আতশবাজি ব্যবহার না করা। ভেতরে ও বাইরে প্রসাদ বিতরণ না করা। কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করা। পুষ্পাঞ্জলি ভার্চ্যুযালি করা। মণ্ডপে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চত করা। সার্বিক বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে, সবাইকে শৃঙ্খলার সঙ্গে সজাগ থাকতে হবে। আমরা যত বেশি শৃঙ্খল থাকবো ততধিক নিরাপদ থাকবো। বরিশাল নগরীর নাগরিকদের মধ্যে একে অন্যের পরিপূরকভাবে শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করার যে ঐতিহ্য রয়েছে, তা যেন কোনো অপশক্তি ভাঙতে না পারে। তাই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনার পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটিসহ মনোনয়ন করা ভলান্টিয়াররা যেন সজাগ থেকে আমাদের মোতায়েন করা পুলিশসহ অন্যান্য শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা দেন, এ বিষয়ে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। তিনি বলেন, মনস্তাত্ত্বিকভাবে শিথিল হলেও করোনার প্রাদুর্ভাব কমেনি। নিয়ম মেনে মহান আল্লাহর কৃপায় আমরা এখন পর্যন্ত সহনশীল পর্যায়ে রয়েছি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি ভেঙে চললে দুঃখও রয়েছে। মাস্কবিহীন কোনো লোক পূজা মণ্ডপে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাদা পোশাকসহ আমাদের ঘন ঘন পুলিশি টহল থাকবে। কোথাও কোনো ব্যপ্তয় ঘটলে আমাদের অবগত করবেন। যত বেশি জানাবেন, যত বেশি পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবেন তত বেশি সমৃদ্ধ হয়ে আরও নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে পারবো।উল্লেখ্য বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতয়ালি মডেল থানা এলাকায় ৩৬টি ,এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় ১৮টি, বন্দর থানা এলাকায় ১১টি, কাউনিয়া থানা এলাকায় ১১টিসহ সর্বমোট ৭৬টি পূজা মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে।আয়োজকরা জানিয়েছেন এবারে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পূজার আয়োজন স্বল্প পরিসরে হচ্ছে। ফলে আয়োজনের খরচও কয়েকগুণ কমেছে।শারদীয় দুর্গাপূজার আর বাকি মাত্র কয়েকদিন। এরইমধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ, আবার অনেক জায়গাতে শুরু হয়েছে সাজসজ্জার কাজও। এর বাইরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও পূজাকে ঘিরে আগাম প্রস্ততি সম্পন্ন করার কাজ পরিচালনা করছে। যার ধারাবাহিকতায় মণ্ডপ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তারা। মহামারি করোনাকালে সার্বজনীন এ পূজাকে ঘিরে ব্যতিক্রমী নানান উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় এবারে ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নীতিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় পূজার আয়োজন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে মাস্কবিহীন কোনো দর্শনার্থী মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর পূজা উদযাপন কমিটিকে মণ্ডপের গেটে ফ্রি মাস্কের ব্যবস্থা রাখার জন্যও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পূজা উদযাপন কমিটির উদ্দেশ্যে বেশ কিছু করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, আয়োজক কমিটির প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও বিসর্জনস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও স্বেচ্ছাসেবক লিখিত আর্মড ব্যান্ড দেওয়া। স্বেচ্ছাসেবকরা পূজামণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের যথাযথভাবে তল্লাশি করা। নারী দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির জন্য পর্যাপ্ত নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা। স্বেচ্ছাসেবকদের নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো। এছাড়া মণ্ডপস্থলের চারপাশ খোলা রাখার ব্যবস্থা করা। যদিও চারপাশ আটকানো থাকে তাহলে ওপরে দিক খোলা রাখা মণ্ডপের ভেতরে একসঙ্গে ২০ জনের বেশি না থাকা এবং আগত দর্শনার্থীরা প্রবেশ পথে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে মণ্ডপে প্রবেশ করানো এবং মণ্ডপের ভেতরেও ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা। প্রত্যেক মণ্ডপের প্রবেশ এবং বাহির পথে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা। প্রতিটি মণ্ডপের গেটে থার্মাল স্ক্যানার/তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্র রাখা। কোনো ধরনের পটকা/আতশবাজি ব্যবহার না করা। ভেতরে ও বাইরে প্রসাদ বিতরণ না করা। কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করা। পুষ্পাঞ্জলি ভার্চ্যুযালি করা। মণ্ডপে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চত করা। সার্বিক বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে, সবাইকে শৃঙ্খলার সঙ্গে সজাগ থাকতে হবে। আমরা যত বেশি শৃঙ্খল থাকবো ততধিক নিরাপদ থাকবো। বরিশাল নগরীর নাগরিকদের মধ্যে একে অন্যের পরিপূরকভাবে শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজ করার যে ঐতিহ্য রয়েছে, তা যেন কোনো অপশক্তি ভাঙতে না পারে। তাই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনার পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটিসহ মনোনয়ন করা ভলান্টিয়াররা যেন সজাগ থেকে আমাদের মোতায়েন করা পুলিশসহ অন্যান্য শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা দেন, এ বিষয়ে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। তিনি বলেন, মনস্তাত্ত্বিকভাবে শিথিল হলেও করোনার প্রাদুর্ভাব কমেনি। নিয়ম মেনে মহান আল্লাহর কৃপায় আমরা এখন পর্যন্ত সহনশীল পর্যায়ে রয়েছি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি ভেঙে চললে দুঃখও রয়েছে। মাস্কবিহীন কোনো লোক পূজা মণ্ডপে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাদা পোশাকসহ আমাদের ঘন ঘন পুলিশি টহল থাকবে। কোথাও কোনো ব্যপ্তয় ঘটলে আমাদের অবগত করবেন। যত বেশি জানাবেন, যত বেশি পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবেন তত বেশি সমৃদ্ধ হয়ে আরও নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে পারবো।উল্লেখ্য বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতয়ালি মডেল থানা এলাকায় ৩৬টি ,এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় ১৮টি, বন্দর থানা এলাকায় ১১টি, কাউনিয়া থানা এলাকায় ১১টিসহ সর্বমোট ৭৬টি পূজা মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে।আয়োজকরা জানিয়েছেন এবারে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পূজার আয়োজন স্বল্প পরিসরে হচ্ছে। ফলে আয়োজনের খরচও কয়েকগুণ কমেছে।