বিপদগামী হচ্ছে কিশোর ও যুব সমাজ.

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২২:১৩, অক্টোবর ১০ ২০২০ মিনিট

মোঃ সুমন, স্বরূপকাঠী ॥ মাদকের কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত হচ্ছে নেছারাবাদ উপজেলার অলিগলি। বাদ যাচ্ছে না উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন। তবে মাদক কেনা বেচায় সকল ইউনিয়নকে টপকে শীর্ষে অবস্থান দৈহারী ইউনিয়নের। চলতি বছর থেকে বিগত সময়ে মাদকের অন্যতম সেরা ও নিরাপদ আশ্রয় বলা হয় দৈহারী ইউনিয়ন কে । যোগাযোগ ব্যাবস্থার মান খারাপ হওয়ার আর্শীবাদে মাদক সেবনকারীসহ বিক্রেতারা রয়েছে নিরাপদ অবস্থানে। মাদকের কড়াল গ্রাসে রাজনীতিবিদ সহ স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের কোমলমতি ছেলে মেয়েরা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি তেমন না থাকায় দৈহারী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলিকে মাদকের আখড়ায় পরিণত করে তুলছে সর্বত্র।হাত বাড়ালেই চলে আসে চালান। বাংলা মদের স্থান বর্তমানে নেই বললেই চলে তবে এবারের দূর্ঘা পূজোতে খুলনার খালিশপুর থেকে একটি চালান আসতে পারে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। তবে বর্তমানে ইয়ারার অবস্থান সকলের শীর্ষে তবে গাঁজার স্থান দ্বিতীয় নম্বরে। অবশ্য আমতলা, কাঁঠালতলা, চিলতলা, বড়ইবাড়ী ও দৈহারীতে মাদকের অন্যতম স্থান। অবশ্য দৈহারী বাজার সংলগ্ন নদীর পশ্চিম সাইডের রাস্তা ঘাট নিরাপদ মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতাদের কাছে। এদিকে বর্তমানে নেছারাবাদ থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোঃ হোসেন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মাদক চক্র স্বল্প সময়ের জন্য আড়ালে আবডালে অবস্থান করছিল। বর্তমানে সময় সুযোগ বুঝে আবারও দেহারীতে মাদকদ্রব্য কেনা বেচায় শীর্ষে অবস্থান। বাদ যাচ্ছে না নামকরা বিগত সময়ের বিক্রেতারা। আবার পাশাপাশি যোগ হয়েছে সময়ের নামকরা উদীয়মান মাদক বিক্রেতার নামডাক। সাবেক শিক্ষকের সুপুত্র কৌশিক হালদারের (২২) নামডাক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে পাড়া মহল্লার মধ্যে। বর্তমানে দৈহারী ইউনিয়নের মধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন মাদক বিক্রেতা কৌশিক হালদার। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে এককভাবে মাদকের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করে যাচ্ছে যত্রতত্রভাবে। তবে গতকাল শনিবার স্থানীয় প্রশাসনের বেশ কয়েকজন সাহসী অফিসার মাদকের বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান নেয় বলে থানা সূত্রে জানা যায়। তবে দৈহারী এলাকার কৌশক হাওলাদার সহ চার পাঁচ জনকে প্রাথমিকভাবে গ্রেফতার করেন। চূড়ান্ত জিজ্ঞাসা বাদ শেষে জানা যাবে মাদক সেবনসহ বিক্রেতাদের নামের তালিকা। অবশ্য প্রশাসনের সৃদৃষ্টি থাকায় নব উদ্যমে থাকা মাদক বিক্রেতারা পড়েছে মহাবিপাকে। এদিকে কুড়িয়ানা বাজার এলাকা থেকে দুই জন গাঁজা বিক্রেতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন নেছারাবাদ থানার এক সাহসী অফিসার। এ ব্যাপারে কথা হয় থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোঃ হোসেনের সাথে। তিনি আজও একই কথা বললেন গণমাধ্যম কর্মীদের। মাদকের সাথে কোন আপোষ নয় বরং কঠিন ভূমিকা নিয়ে আমরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছি। আমার থানার প্রতিটি অফিসার তার দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য মতে চূড়ান্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাদক আইনে মামলা হবে। অবশ্য আমরা কাউকে অহেতুক হয়রানিও করবো না। সঠিক নিয়মে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে আমরা যাছাই বাছাই করে প্রকৃত অপরাধীর শাস্তির আওতায় আনবো।