কলাপাড়ায় প্রান্তিক কৃষক ও গ্রামবাসীদের নিজস্ব অর্থায়নে ভাসমান সেতুর উদ্বোধন

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২২:০৩, অক্টোবর ১০ ২০২০ মিনিট

হাজী নাসির উদ্দিন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষক ও গ্রামবাসীরা নিজস্ব অর্থ দিয়ে ভাসমান সেতু তৈরি করেছেন। সরকার কিংবা জনপ্রতিনিধির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে অনুকরনীয় এবং বরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করেছে প্রান্তিক চাষীরা। সবজির গ্রাম খ্যাত কুমিরমারা, মজিদপুর, এলেমপুরের সবজি চাষীদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করার একমাত্র যোগাযোগের পাখিমারা খালের ওপর এলজিইডির নির্মিত আয়রণ ব্রিজটি গত দুই মাস আগে ভেঙ্গে খালে ডুবে যায়। জনগুরুত্বপূর্ণ আয়রন ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরে ৫ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক পরিবার। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরায় শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সামাজিক নানা সমস্যার সম্মুখিন তাঁরা। অবশেষে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করে ভাসমান সেতু। গতকাল শনিবার সকালে উদ্বোধন করা হয়েছে ১১৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে পাখিমারা খালের ওপর ভাসমান সেতু। প্রায় ৩৫০ ফুট লম্বা, চার ফুট পাশে এই সেতুট নির্মাণে অন্তত আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সেতুটি চলাচলের জন্য চালু করা হয়েছে। ৭২টি প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর পাটাতন করতে ২৫০ ঘন ফুট (কেভি) কাঠ লেগেছে। আর প্লাস্টিকের রশি লাগে তিন মণ। তারকাটা লেগেছে তিন মণ। এ সেতুতে একই সঙ্গে ১০ জন মানুষ পারাপার হলেও কোন ঝুঁকি নেই বলে দাবি এখানকার প্রান্তিক চাষীদের। ভাসমান ব্রিজ তৈরির উদ্যোক্তা কৃষক মোঃ সুলতান গাজী জানান, আমরা কৃষকরা একজোট হয়ে এ ভাসমান ব্রিজটি নির্মাণ করি। উদ্যোক্তা কৃষক মোঃ জাকির গাজী জানান, স্থানীয় কৃষকদের উদ্দ্যোগে প্রায় আড়াই লাক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ব্রিজটি তৈরি করি। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, কুমিরমারা, এলেমপুর গ্রামের মানুষ যে নিজের ইচ্ছায় এ ভাসমান সেতুটি করেছে এজন্য তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তারা এ উপজেলার একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।