চলতি মাসেই প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২২:১৬, অক্টোবর ০৪ ২০২০ মিনিট

রিপোর্ট দেশ জনপদ ॥ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের পরীক্ষামূলক অনলাইন বদলি কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে জেলার এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় অভ্যন্তরীণ সহকারী শিক্ষক বদলি করা হবে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এর আবেদন গ্রহণ শুরু হতে পারে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবরের শুরুতে অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়। তারপরও চলতি মাসেই সফটওয়্যার ট্রায়াল শেষ করে বদলি কার্যক্রম শুরু করতে নতুন বিষয় ইনপুট দিতে কাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অনলাইন এই বদলিতে প্রতিবন্ধী, গুরুতর অসুস্থ শিক্ষক ও বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে বা বিধবা নারী শিক্ষকরা, স্বামী-স্ত্রী বা সন্তান দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিক্ষকদের জন্য নতুন অপশন যুক্ত করার কাজ চলছে। সফটওয়্যারে নতুন এই বিষয়গুলো ইনপুট দেয়া সম্পন্ন করার পর এ মাসেই বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে কোনো কারণে সফটওয়্যার ট্রায়ালে যদি বেশি সময় লাগে সেক্ষেত্রে নভেম্বর থেকে পুরোপুরি চালু হবে। প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের (ডিপিই) কর্মকর্তারা জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নীতিমালা অনুযায়ী বছরের শুরুতে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু হয় থাকে। বর্তমানে বদলি কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে একটি নতুন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। সেটিকে পরীক্ষামূলক হিসেবে জেলার অভ্যন্তরীণ শিক্ষকদের কিছু সংখ্যক বদলি করা হবে। এজন্য আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে অনলাইন আবেদন গ্রহণ করতে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আবেদন কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি চলছে ডিপিইতে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সফটওয়্যার প্রেজেন্টেশন করা হয়েছে। নতুন বিষয়গুলো ইনপুট দেয়া হলেই অক্টোবরে অনলাইন বদলি চালু করা হবে। এ বিষয়ে অধিদফতরকে নির্দেশনা দেয়া হবে। জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষক বদলিতে বাণিজ্য, হয়রানি ও নানা অনিয়ম বন্ধে অনলাইনে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করার জন্য এ বছর ফেব্র“য়ারিতে জরুরি বদলি ছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু কম সময়ে অনলাইন বদলি শুরু করতে না পারায় গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে হার্ডকপির আবেদনে বদলি কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে তাও সম্ভব হয়নি। জরুরি বদলিও আটকে যায়।