বাউফলে সর্বনাশা তেতুলিয়ার নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে অর্ধশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:২৬, অক্টোবর ০৩ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালী জেলার বাউফলের তেঁতুলিয়ার অতল গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে বাড়ি ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জনপথ ও আবাদি জমি। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে গত শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর কড়াল গ্রাসে ৫১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একই বাড়ির ৫টি ঘর নদীর পেটে চলে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী মহিবুল ইসলাম মান্না হাওলাদার জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে তেঁতুলিয়া নদীর অব্যহত ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে ধুলিয়া ইউনিয়ন। এই সময়ে সহস্রাধিক বাড়ি ঘর, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনপথসহ কয়েক হাজার হেক্টর আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর তীব্র ভাঙ্গনে ধুলিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় সুমন গাজী, বিকাশ রায়, স্বপন মিস্ত্রি, কৃষ্ণ দাস, রতন রায়, নয়ন গাজী, সোহরাব হোসেন, খলিল শরীফ, ননী সীল, রিয়াজ স্বন্যমত, দুলাল রাড়ি, উত্তম ঘরামি, লিটু মৃধা, নিমু ঘরামি, নিজাম হাওলাদার, অমৃত মন্ডল, ভুবারন মন্ডল, দিলীপ হাওলাদার, মোশারেফ সর্দার, আবুছালে, মোহাম্মদ হারুন, বিমল দাস, শাহিন মৃধা, মন্টু রাড়ি, কবির ডাওরী, কমল সীল, তপন সেন, সুলতান ফকির, সুধাংশু, মীর হাবিবুর রহমান, রাসেল শরীফ, জলিল সওদাগর, হেলাল সওদাগর, শামিম মৃধা, যতীন রক্ষিত, আবুল গাজী, জাকির গাজী, রব মিয়া, আবুল কালাম উকিল, সোহেল মৃধা, খলিল গাজী, বাবুল মৃধা, ইসমাইল, অসীম, মতিয়ার রহমান, মিজান, জলিল চৌকিদার, সিদ্দিক প্যাদা, রিপন, সুন্দর আলী খান, জাহাঙ্গীর মোল্লা, সালেহ মুসলমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাজার এলাকায় পান্নু মোল্লা বাড়ির ৫টি ঘর ও একটি মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এ ছড়াও ধুলিয়া দাখিল মাদ্রাসা এক তৃতীয়াংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে মাদ্রাসা টিনসেট ভবনের বাকি অংশ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ওই এওলাকার মানুষ এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, গত ১৮ আগস্ট একনেকের এক সভায় বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চ ঘাট থেকে বাকেরগঞ্জের দূর্গাপাশা পর্যন্ত ভাঙ্গন রোধে জিওবির অর্থায়নে ৭শ ১২ কোটি ২১ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। চলতি বছর জুন থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা এই দ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।