বরিশালে ৪ লাখ শিশুকে ভিটামিন “এ” প্লাস খাওয়ানো হবে

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২০:৪৮, অক্টোবর ০১ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারাদেশের ন্যায় আগামী ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত পক্ষকালব্যাপী বরিশাল জেলায় ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ৩ লাখ ৮ হাজার ৫০৩ জন জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৯৮ জন শিশুকে লাল রংয়ের ২ লক্ষ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ক্ষমতাসম্পন্ন ও ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি ৩৩ হাজার ৫ জন শিশুকে এক লক্ষ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি করে নীল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বরিশাল জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ‘ইতিপূর্বে জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন এক থেকে তিন দিনব্যাপী হতো। তবে এ বছর মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ১৪ দিন ব্যাপী এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। জেলার ২৫৫টি ওয়ার্ডের ২ হাজার ৪০টি অস্থায়ী এবং প্রতি উপজেলায় একটি করে টিকাদান কেন্দ্রসহ মোট ২ হাজার ৫০টি টিকাদান কেন্দ্রে চার হাজার একশত জন স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে এ জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও প্রতি কেন্দ্রে দু’জন করে স্বেচ্ছাসেবক, প্রতি ওয়ার্ডে দু’জন করে মাঠ কর্মী এবং একজন করে প্রথম সারির সুপারভাইজার দায়িত্বরত থাকবেন। ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন প্রচারের জন্য স্ব স্ব এলাকায় নিয়মিত মাইকিং সহ মসজিদ থেকে মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হবে। সংবাদ সম্মেলনে কোন গুজব বা অসত্য তথ্য পেয়ে জনগকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহক্ষান জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘করোনাকালীন সময় যেসকল শিশুরা টিকানা নিতে আসবে তাদের স্বজনদের অবশ্যই মাস্ক পড়ে টিকাদান কেন্দ্রে আসতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সাবান-পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। তবে এ বছর ভ্রাম্যমান কোন টিকাদান থাকবে না। তাছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে এক দিন করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। যেহেতু পক্ষকাল ব্যাপী সেহেতু ‘এ ক্যাপসুল’ খাওয়ানো নিয়ে তারাহুরো করার কিছু নেই বলে জানান সিভিল সার্জন। অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. নুহাইনুল ইসলাম, এন. আই কনসালটেন্ট ইব্রাহীম খলিল প্রমূখ।