বাউফলে ভূমি সহকারী কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের পাহাড়!

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২২:১৫, সেপ্টেম্বর ২৮ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালী বাউফলের তৃতীয় শ্রেণির এক ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের পাহাড়সহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারী ওই কর্মচারী এখন বাউফল ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও তিনি এখনও বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন। জানা গেছে, আশরাফ আলী খান ১৯৯৪ সালে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসাবে চাকুরিতে যোগদান করেন। তখন তার সর্বসাকুল্যে বেতন ছিল ৪ হাজার টাকা। পটুয়াখালী জেলার দশমিনা, মির্জাগঞ্চ, কালাইয়া, গলাচিপা ও কলাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বাউফল উপজেলার নওমালা ইউিপির বটকাজল গ্রামে। বাবা আবদুর রহমান একজন দরিদ্র কৃষকও ছিলেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় তহশীলদার আশ্রাব আলী। আর্থিক অনটনের মধ্যেই পরিবারের হাল ধরেন তিনি। চাকুরীতে যোগদানের ১ বছরের মধ্যেই অবৈধ ভাবে গড়া অর্থের ঝনঝনানি শুরু হয়। দরিদ্র পরিবারের থেকে উঠে আসা আশরাফ গড়ে তোলেন কোটি টাকা ব্যায়ে সুরম্য প্রাসাদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসাসহ নামে বেনামে একাধিক বাড়ি। চাকুরীর কিছুদিন পরেই একই এলাকার কাঞ্চন আলী মৃধার মেয়ে মোর্শেদাকে বিয়ে করেন। কৃষক কাঞ্চন আলী এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধার দেনা করে কোন রকমে মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের পরে স্ত্রী মোর্শেদা বেগমও মালিক হন শত একর জমি ও একাধিক বাড়ির মালিক। জেলা উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একাধিক বাড়িসহ নামে বেনামে ক্রয় করেছেন এসব সম্পত্তি। এরমধ্যে অভিযোগ উঠে নানা ধরনের অনিয়মের, ভূমি উন্নয়ন কর, দাখিলা, মিউটিশন, কলম দিয়ে লিখে জাল পর্চা ও তদন্তদের নাম করে সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে নিতেন মোটা অংকের উৎকোচ। আশরাফ আলী চাকুরীর ১ বছরের মধ্যেই বাবার খুরকুটার ঘর ভেঙে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরী করেন বসতবাড়ি। ১৯৯৬ সালে ক্রয় করেন প্রায় নামে বেনামে ৫০ লক্ষ টাকার চাষাবাদি জমি। স্বামীর ঘুষ দুনীতির সুবাদে স্ত্রী মোর্শেদা বেগমেরও ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়, তিনিও রাতারাতি কোটিপতি বনে যায়। যেমন হয়েছেন একাধিক বাড়ির মালিক তেমনি প্রিয় স্ত্রীর নামে ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর স্টান্ডার্ড ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা এফডিআর করা হয়। যার হিসাব নং-০৯৯৪২৮।