কুয়াকাটায় চলাচলের সড়ক বন্ধের অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২১:৪৪, সেপ্টেম্বর ২৬ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুয়াকাটা পৌর এলাকার নিজ রেকর্ডীয় জমিতে স্থাপনা তুলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও মাছ চাষ করে আসলেও একটি চক্র ষড়যন্ত্রমূলক সরকারী জমির দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ওই চক্রটি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিএস জরিপের কাগজপত্র সৃষ্টি করে অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য অপ-প্রচার চালিয়ে আসছে এমন অভিযোগ এনে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন কুয়াকাটা পৌর এলাকার বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হাওলাদার। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, বিএনপি সরকারের আমলের গ্রাম সরকার প্রধান মোঃ শাহজাহান মৃধা, জনৈক এনায়েত উদ্দিন দুলাল কচ্ছপখালী বাঁধ পুনরুদ্ধার কমিটির ব্যানারে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের ভুল বুঝিয়ে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে আমার ও আমার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য হাজী চাঁনমিয়া হাওলাদারের নামে জেলা প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেন। তাদের সহযোগী এক সময়ের বিএনপি নেতা আঃ রশিদ হাওলাদার রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করে বর্তমানে শেখ রাশেল মেমোরিয়াল সমাজ কল্যাণ সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দাবীদার। যিনি জাল জালিয়াত চক্রের সাথে আতাঁত করে বিএস জরিপ করিয়ে আমাদের ভোগদখলীয় মালিকানাধীন জমি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মামলা হামলা ও হয়রানী করে আসছে। ওই চক্রটি সাংবাদিক সম্মেলনসহ গনমাধ্যমকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। সাংবাদিকদের মিথ্যা ও বানোয়াট মনগড়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের কারণে তাদেরকে সামাজিকভাবে ও অর্থনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এতে তাদের পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জাহাঙ্গীর হাওলাদার দাবী করেন। জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, শাহজাহান মৃধা ও এনায়েত উদ্দিন দুলাল জেএল ৩৪ নং লতাচাপলী মৌজার এসএ ৩১৯ নং খতিয়ান বিএস ৪৫৯ নং খতিয়ানের ১ একর ৫৫ শতাংশ জমি জোরপূর্বক জবরদখল করে আছে। আমরা জোরপূর্বক দখলের বিরুদ্ধে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছি। যার মামলা নং সি আর ৩৭০/২০ চলমান রয়েছে। অপরদিকে লতাচাপলী মৌজার সিএস ২৬৩,আর এস ৭২১,এসএ ১১৬০ নং খতিয়ানের ৫৩৪৮,৫৩৪৯ ও ৫৪৮৫ দাগের জমি মূল মালিক সেফারী মগ। সেফারী মগ ছারছিনা পীর সাহেব মাওলানা শাহ মোহাম্মাদ সিদ্দিক এর কাছে বিক্রি করে। ছারছিনার পীরের কাছ থেকে কারী আঃ খালেক ক্রয় করেন। কারী আঃ খালেকের কাছ থেকে ৬-৮-১৯৯৮ সালে ১১৪৯ নং সাব কবলা দলিল মূলে আমার পিতা হাজী মোঃ চাঁন মিয়া হাওলাদার ক্রয় করে। কুয়াকাটা মহাসড়ক সংলগ্ন উক্ত ক্রয়কৃত জমিতে তরঙ্গ নামে একটি খাবার হোটেল নির্মাণ করে বিশ বছর যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে তারা।