রহমতপুর হাটে ইজারাদারের দৌরাত্ম্য অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

দেশ জনপদ ডেস্ক | ২৩:১৫, সেপ্টেম্বর ২২ ২০২০ মিনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর হাট-বাজারের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাহিদা মতো খাজনা না দিলে ক্রেতা- বিক্রেতাদের সাথে বাগবিতণ্ডার অভিযোগ উঠেছে খাজনা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত খাজনা আদায় করেও ব্যবসায়ীদের দেয়া হচ্ছে না কোন রশিদ। দূরদুরান্ত থেকে আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা হচ্ছে অধিক টাকা। আর তাই বেচাকেনা করতে আসতে ভয় পাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। স্থানীয় এই বাজারে নেই কোনো খাজনা আদায়ের নির্ধারিত তালিকা। এসব অনিয়মের অভিযোগে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বরিশাল জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে শীঘ্রই অভিযোগ দিবেন বলে জানা গেছে। জানাযায়, সপ্তাহে শুক্রবার ও মঙ্গলবার উপজেলার রহমতপুর নামক স্থানে হাট বসে। আর এই হাটের ইজারাদার হচ্ছেন সুশাস্ত দাস। ৪ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ মূল্যে ওই বাজারের ইজারাদার হিসেবে তিনি ইজারা পেয়েছেন। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ইজারাদার বাজার কমিটির তোয়াক্কা না করে হাটের মধ্যে ছোট ছোট ঘর নির্মাণ করে হাটের পরিবেশ নষ্ট করায় বেকায়দায় পড়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এমন কি রাস্তায় বসে কোনো কিছু বিক্রি করলেও তার খাজনা দিতে হচ্ছে। সুশান্ত কুমার রহমতপুর হাটের ইজারা নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা বাজার থেকেও খাজনা আদায় করছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান। ওই বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সুনিল রায় বলেন, চটে বসে জায়গার ভাড়া দিয়েই মাছ বিক্রি করি। বেচা-কেনার শুরুতেই ইজারাদারের লোকজনকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। কিন্তু টাকা নিয়ে কোন রশিদ দেওয়া হয় না। বাজারের তরকারি ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম বলেন, বাজারে ব্যবসায়ীদের সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। রোদ-বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে কাদা মাটিতে বসে ব্যবসা করতে হয়। কিন্তু খাজনায় কোনো মাফ নাই। সরকারি রেটের তোয়াক্কা না করে নিচ্ছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এতে বাজারে ক্রেতা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে আমরা খাজনা দিচ্ছি। এ ব্যাপারে রহমতপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মহিদুল ইসলাম লিটন বলেন, ইজারাদার বাজার কমিটিকে অবহিত না করে হাটের ছোট ছোট ঘর তোলার কারণে বিক্রেতাদের রাস্তার উপর মালামাল রেখে বিক্রি করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ব্যাপারে বাজারের ইজারাদার সুশান্ত দাস এর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।